
এ বছর চা উৎপাদনের অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় মাত্র পাঁচ কেজি ‘এক্সকুইজিট স্পেশ্যালিটি অর্থডক্স’ চা উৎপাদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের মনোহারি চা বাগানের মালিক রাজন লোহিয়া।
তার দাবি, পাতা থেকে নয়, কুঁড়ি থেকে তৈরি হয় এই চা। প্রতিবছর মে এবং জুন মাসে দ্বিতীয়বার বিকশিত কুঁড়িগুলো খুব ভোরবেলা সংগ্রহ করতে হয়। অপ্রস্ফুটিত কুঁড়িগুলিকে বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে ‘স্প্রিং ব্লেন্ডিংয়ের’ মাধ্যমে এই চা তৈরি হয়। এই পদ্ধতিতে তৈরি চা-ই অর্থডক্স চা বলে পরিচিত।
গত বার নিলামে মনোহারি বাগানের এই সোনালি স্পেশ্যালিটি চায়ের দাম উঠেছিল ৩৯ হাজার টাকা প্রতি কেজি। তাদের পিছনে ফেলে ৪০ হাজার টাকা কেজি দরে চা বিক্রি করেছিল অরুণাচল প্রদেশের ডনি পোলো বাগান।
তবে মঙ্গলবার রেকর্ড ভেঙে মনোহারি বাগানের প্রতি কেজি সোনালি স্পেশ্যালিটি চায়ের দাম উঠল ৫০ হাজার টাকা। এই দরে তাদের দু’কেজি চা কিনে নেয় সৌরভ টি ট্রেডার্স।
সৌরভ টি ট্রেডার্স-এর এক কর্মকর্তা মাঙ্গিলাল মহেশ্বরী জানান, ২০১৮ সালে একজন ক্রেতা এই চায়ের ১ কেজি তার কাছ থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ক্রেতার চা-টি খুবই পছন্দ হয়। তিনি অনুরোধ করেছিলেন এই চা আবার পাওয়া যায় কিনা তা খেয়াল রাখতে।
তিনি আরো জানান, তিনি ৫০ হাজার টাকা কেজি দরে কিনে নেওয়া এই চায়ের একশ গ্রাম আট হাজার টাকা করে বিক্রি করবেন।
গুয়াহাটি চা নিলাম কেন্দ্রের সম্পাদক দীনেশ বিহানির দাবি, উন্মুক্ত নিলামে এখনও পর্যন্ত এটিই ভারতে চায়ের সর্বোচ্চ দাম।
টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাতকমল বেজবরুয়া বলেন, হাতে তৈরি বিশেষ চা ধীরে ধীরে কমে আসছে। মনোহারি যা দাম পেয়েছে, তাতে এই বিশেষ ধরনের চা তৈরিতে অন্য বাগানগুলি উৎসাহ পাবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস