সিলেটপোস্ট ডেস্ক ::শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৭০হাজার ৫৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক মিলে সিলেট নগরীতে এ দিন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে। কিন্তু সিলেট সিটি কর্পোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ-প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে সবক্ষেত্রে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সিলেট নগরীতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম না থাকার সুযোগ নিয়ে সিএনজি-অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্যে এমনিতেই নাকাল নগরবাসী। সিএনজি-অটোরিকশাকেন্দ্রিক ছিনতাইকারী চক্রও সক্রিয় নগরীতে। ভর্তি পরীক্ষার দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন চালকরা। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে দাবি করেন কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।
এদিকে ভাড়ার নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় কক্ষ খালি নেই অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে। তবে ভর্তি পরীক্ষা আসলেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস নিলেও তা বাস্তবায়িত হয় না বলে দাবি করেন অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাপ্পু রায় বলেন, এদিন এতসংখ্যক মানুষের সমাগম হলেও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ভোগান্তি লাঘব করা সম্ভব। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে সিএনজিগুলোর নির্ধারিত ভাড়া সম্বলিত ফেস্টুন টানানো, হোটেলগুলোতে পুলিশি অভিযান জোরদার করা, রেস্টুরেন্ট এবং হলগুলোতে সুলভমূল্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ হেল্পলাইন সেবার ব্যবস্থা করলে এ ধরণের ভোগান্তি অনেকটা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, হোটেল ভাড়া নিয়ে ভোগান্তির বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তার নিজেরও হোটেল রয়েছে। হোটেল ভোগান্তি লাঘবে তিনি উদ্যোগ নিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আমরা মোটরসাইকেল সেবার ব্যবস্থা করেছি। যারা ঐ সকল পয়েন্টগুলোর নিকটস্থ কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীদের যাত্রীসেবা দিবেন।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) জ্যোর্তিময় সরকার (পিপিএম) বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা নগরীর ৫টি পয়েন্ট এ চেকপয়েন্ট বসিয়েছি। আর তাছাড়া সিএনজি মালিক সমিতির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে যাতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিএনজি ভাড়ার নির্দেশিকা টানানো হয়।’
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা জানতে চেয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।