আমিনুল ইসলাম কানাইঘাট::মোহাম্মদ বারিউল করিম খান, তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব যখন আক্রান্ত, তখন তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি নিদের্শ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছেন। পাহাড় ঘেষা দেশের সীমান্তবর্তী অবহেলিত এ উপজেলার মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে সচেতন করতে এবং অসহায়দের পরিবারে সরকারের ত্রাণ সামগ্রী সঠিক ভাবে পৌছে দিতে তিনি বদ্ধ পরিকর। বিশেষ করে গত ২৬ শে মার্চ থেকে তিনি প্রতিনিয়ত সকল হাট-বাজার সহ মানুষের ধারে ধারে ঘুরছেন। সেখানে করোনা ভাইরাসের অপকারিতার কথা তুলে ধরে তাদেরকে নিরাপদে বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। সঠিক ভাবে ত্রাণ সামগ্রী অসহায় পরিবারে পৌছানো জন্য গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে হাটছেন। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলার প্রতিটি বাজার মনিটরিং করছেন। সর্বোপরি টানা এই সময়ে তার কাছে যেন রাত দিনের কোন পার্থক্য নেই। কখন দিন শেষে রাত হয় এমনটাই ভাবার সময়ও নেই তার। কেবল ভাবছেন কিভাবে এ উপজেলার মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে নিরাপদে রাখা যায়? কি ভাবে লোকজনকে হাট-বাজার থেকে সরিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া যায়? এমন ভাবনা নিয়েই প্রতিদিনের মত আজও তিনি সকালে বাসা থেকে বের হন। বের হয়েই তিনি সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী মাঠে কাজ শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রেশার জনিত কারনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে কানাইঘাট হলি হেল্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুঠে যান স্থানীয় সরকার সিলেট এর ডিডিএলজি মীর মাহবুবুর রহমান ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদ জানান, ইউএনও স্যারের ব্লাড প্রেশার বেড়ে গিয়েছিলো এবং রক্তের সুগারের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার নিবীড় চিকিৎসা চলছে এবং বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।