বিদেশ ডেস্ক॥ এবার সামরিক অনুষ্ঠান চলাকালে ঘুমানোর কারণে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হায়ন ইয়ং-চলের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির নেতা কিম জং-উনের প্রতি আনুগত্যহীনতা ও অসম্মান প্রদর্শনের জন্য বিমান বিধ্বংসী গোলার আঘাতে তার এ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএস) উপপরিচালক হান কি-বিওম বুধবার একটি পার্লামেন্টে কমিটিকে এ কথা জানান। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ এ তথ্য দিয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল হায়নের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পুরো প্রক্রিয়া শতশত কর্মকর্তা প্রত্যক্ষ করেন বলে খবরে বলা হয়েছে। খবরে প্রকাশ, হায়ন গত এক বছরের কম সময় আগে পিপলস আর্মড ফোর্সের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। ইয়োনহ্যাপ জানায়, একটি সামরিক অনুষ্ঠান চলাকালে তিনি ঘুমাচ্ছিলেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি কিম জং-উনের প্রতি অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ক্ষমতাসীন সানুরি পার্টির এক আইনপ্রণেতার ব্রিফিংয়ের ভিত্তিতে ইয়োনহ্যাপ এ খবর দিয়েছে। হান কমিটিকে বলেন, বিমান বিধ্বংসী গোলার আঘাতে হায়নের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হলে তা কার্যকর করা জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে থাকে বলে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মূলত লজিস্টিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকে। নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমগুলো ক্ষমতাধর জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন ও দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন দেখভাল করে।
সংবাদমাধ্যম ইয়োনহ্যাপের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় সেখানে হাইয়োন ঘুমাচ্ছিলেন। এটাকে প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় এবং এও বলা হয় তিনি তার কর্তব্য পালন করেননি। একারণে তাকে হত্যা করা হয়। তবে এটা জানা যায়নি আসলে তিনি কী এমন কর্তব্য পালন করেননি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উত্তর কোরিয়া বরাবরই নিজেকে আড়াল করে রেখেছে। ফলে দেশটিতে কী ঘটছে না ঘটছে তা জানা খুবই কষ্টকর।
জানা যায়, এবছরের প্রথম ৪ মাসেই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বিরুদ্ধে ১৫ জনের বেশি উর্ধতন কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এসব অভিযোগকে কিম একেবারে উড়িয়েও দেননি। বরং বলেছেন, দেশে শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যে কোনো ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড দমাতে কাউকে হত্যা বা শাস্তি দেয়া তার দেশে নতুন কিছু নয়।
এবার ১৯৯ বছরের কারাদণ্ড!
বিদেশ ডেস্ক॥ এবার শিশু পর্ণগ্রাফির দায়ে এক মার্কিন নাগরিককে ১৯৯ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে মেক্সিকো। মায়ের সম্মতিক্রমে সে একটি মেয়ে শিশুর পর্ণগ্রাফি ফটো তুলেছিল। বুধবার মেক্সিকোর প্রসিকিউটরের অফিস থেকে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত লোকটিকে মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কোলিমার মাঞ্জানিলো এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি শিশুর পর্ণছবি তুলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা অন্যান্য দেশে পাঠানোর অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসিকিউশন অফিস থেকে অপরাধীর পরিচয় বা মেয়েটির বয়স জানানো হয়নি। কারাদন্ড ছাড়াও অপরাধীকে ৯৬ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের পর্ণছবি তোলার অনুমতি দেয়ায় শিশুটির মাকেও সাজা প্রদান করা হয়েছে।