সিলেটপোস্ট ডেস্ক ॥ অত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন বি জে পি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী৷ আগেই টুইটারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কর্ণাটক হাইকোর্ট জয়ললিতাকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে পারেন৷ এবার পরিষ্কার জানালেন, ১ জুনের মধ্যে যদি কর্ণাটক সরকার এ আই এ ডি এম কে নেত্রীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে না যায়, তা হলে তিনিই স্পেশাল লিভ পিটিশন দেবেন সর্বোচ্চ আদালতে৷ প্রমাণ করে দেবেন, কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় ‘গাণিতিক বিভ্রাটের একটি দুঃখজনক ঘটনা’ ছাড় আর কিছু নয়৷ এর মধ্যে জয়ললিতা যদি ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন তা হলে আবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন৷ স্বামীই ১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদের মামলা করেছিলেন৷ পরে ডি এম কে সরকার তা নিয়ে মামলা দায়ের করে৷ কিন্তু গত সোমবার কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি কুমারাস্বামী ৯১৯ পাতার রায়ে বলেছেন, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ভুল ভাবে গণনা করা হয়েছে৷ হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, তাঁর আয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত সম্পদ আসলে ৬৬.৪৪ কোটি নয়, মাত্র ২.৮২ কোটি৷ বিয়ের পেছনে বা নির্মাণ-সহ অন্যান্য সম্পদের জন্য তাঁর খরচ অতিরিক্ত করে দেখানো হয়েছে৷ অতিরিক্ত করে দেখানোর জন্যই তাঁর সম্পদ ৬৬.৪৪ কোটি হয়েছে৷ আসলে হবে ৩৭.৫৯ কোটি৷ আর ওই সময়ে জয়ললিতা ও অন্যান্য সহযোগীদের ঘোষিত আয় ছিল ৩৪.৭৬ কোটি৷ ফলে অসঙ্গতি রয়েছে ২.৮২ কোটির, যেটা তাঁর আয়ের ৮.১২শতাংশ বা ১০ শতাংশের কম৷ এই নগণ্য পরিমাণের জন্য জয়ললিতাকে অভিযুক্ত করা যায় না৷ আর তিনি সম্পদ যা করেছেন বা খরচ করেছেন তার বেশিরভাগটাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে৷ এর মধ্যে দোষের কী আছে? অভিযোগকারীরা সেল ডিডি ছাড়া আর কোনও তথ্য দিতে পারেননি৷ তিনি যে অন্যায়ভাবে আয় করেছেন সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব তো অভিযোগকারীদেরই নিতে হবে! এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী বলেছেন, হাইকোর্টের হিসেবেই ভুল রয়েছে৷ হাইকোর্ট বলেছে, তিনি ২৪.১৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন৷ কিন্তু হিসেব বলছে ঋণের পরিমাণ মাত্র ১০.৬৬ কোটি৷ তা হলে বাকি ১৩.৫ কোটি টাকা এল কোথা থেকে? আর ডিরেক্টরেট অফ ভিজিলেন্স অ্যান্ড অ্যান্টি করাপশন বলেছিল, নির্মাণে ও বিয়েতে জয়ললিতা খরচ করেছেন যথাক্রমে ২৭.৭৯ কোটি ও ৬.৪৫ কোটি৷ আর আদালত বলছে নির্মাণে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৫.১১ কোটি এবং বিয়েতে মাত্র ২৮ লাখ টাকা৷ এত কম খরচের হিসেব আদালত পেল কোথা থেকে?