সিলেটপোস্টরিপোর্ট: গরমের হাত থেকে বাঁচতে গলাবন্ধ কোট পরেননি৷ চোখ বাঁচাতে পরেছিলেন ঘন সানগ্লাস৷ তাতেই শিরোনামে ছত্তিশগড়ের ‘দাবাং’ ডি এম অমিত কাটারিয়া৷ ৯ মে মাও অধ্যুষিত বস্তার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রোটোকলে বাঁধা আই এ এস আধিকারিকদের মাঝে সানগ্লাস পরে নজরে পড়ে যান অমিত৷ খবর রটে যায়, মোদি তাঁকে দেখে বলেছিলেন ‘দাবাং’৷ সলমন খানের ‘দাবাং’ সিনেমায় পুলিস অফিসার চুলবুল পান্ডেকে দেখা গিয়েছিল এই রকম চশমা পরতে৷ তবে অমিত এ ‘খবর’ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ‘হ্যালো’ বলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর মতো সৌজন্য দেখাতে পারেনি ছত্তিশগড় সরকার৷ কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়েছে অমিত কাটারিয়াকে৷ ২০০৪-এর আই এ এস অফিসার অমিতকে সকলে সৎ বলেই জানে৷ ২০১০ সালে রায়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দায়িত্বে ছিলেন৷ ২০১৩ সালে রায়গড়ের কালে’র নিযুক্ত হন৷ এলাকার উন্নয়নে বড় ভূমিকা নেন তিনি৷ স্হানীয় বি জে পি নেতা রোশন আগরওয়াল তাঁকে রাস্তা চওড়া করার কাজে বাধা দেন৷ তবে দমে যাননি তিনি৷ আদালতের স্হগিতাদেশের ফলে বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজে বাধা পেতে পারেন তাই তিনি শুক্রবার এবং শনিবার এই কাজ করতেন৷ মধ্যপ্রদেশে তাঁর কাজের সুনাম রয়েছে প্রতিটি এলাকায়৷
এহেন ভয়ডরহীন কাটারিয়া নোটিসের জবাব দিয়েছেন চাঁচাছোলা ভাষায়৷ বন্ধুবান্ধবদের হোয়াটস অ্যাপে তিনি জানিয়েছেন, মে মাসে বস্তারে খুব গরম৷ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধগলা কোট পরে থাকা বাস্তবসম্মত নয়৷ সে দিন সব ব্যবস্হা করতে করতে আমি ঘেমে যাই৷ রোদে চোখ ঝলসে যায়৷ তাই গাড়িতে কোট খুলে সানগ্লাস পরে নিই৷ ১১ বছর ধরে কাজ করে চলেছি৷ তিনটি জেলার দায়িত্ব সামলেছি৷ এর পরেও যদি আমি কাজ না জেনে থাকি তবে ইউ পি এস সি এবং ট্রেনিং অ্যাকাডেমিকে শাস্তি দেওয়া উচিত৷ আই এ এস সংগঠন অমিত কাটারিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে৷ বলেছে সিভিল সার্ভিস আধিকারিকদের কোনও ড্রেস কোড নেই৷ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হলে হালকা ফরমাল পোশাক পরা যায়৷