সিলেটপোস্টরিপোর্ট: হনাগাটির প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ চিরকালীন৷ এক টুকরো সোনা দেখিয়ে নারীর মন জয় করেছে কত পুরুষ৷ সেই আকর্ষণকে তুরি মেরে উড়িয়ে দিল মহারাষ্ট্রের আকোলার চৈতালি ডি গোখলে৷ গহনাগাটি, টাকাকড়ি দিয়ে মেয়েকে বিদায় করে থাকে বাবা-মা৷ চৈতালি এসব চায়নি৷ তার একটাই দাবি, বরের বাড়িতে টয়লেট বানিয়ে দিতে হবে বাবা-মাকে৷ কেননা হবু পাত্রের বাড়িতে তখনও টয়লেট ছিল না৷ আকোলার এক কৃষক কন্যার দাবিতে সাড়া পড়ে যায়৷ অবশেষে তার জেদের কাছে আত্মসমর্পণ করে তার বাবা৷ বরের বাড়িতে ১২ হাজার টাকা খরচ করে বসানো হয় আধুনিক টয়লেট৷ সঙ্গে বেসিন এবং আয়না৷ তবে তাঁর দাবি মানাতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে চৈতালিকে৷ তার কথায়, ‘আমার টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন বা গয়না গাটিতে কোনও আগ্রহ নেই৷ আমার একটি টয়লেট চাই৷ ওটাই আমার যৌতুক৷’ প্রথমে তার কথা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল তার বাবা৷ তবে মেয়ের ‘সুখে’র কথা ভেবে হার মানতে হয়৷ এগিয়ে আসে স্হানীয় ইমারতি দ্রব্য বিক্রেতা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ প্রকল্পে অনুপ্রাণিত বিক্রেতা লাভ না রেখে জিনিসপত্র সরবরাহ করেছেন৷ তাই খরচ কমে গিয়ে ১৮ হাজার থেকে ১২ হাজারে৷ বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিল অনেক কিশোরীই৷ অনেকের সামনেই বিয়ে৷ চৈতালির প্রতিবাদ পথ দেখিয়েছে তাদের৷ তারাও এখন বিয়েতে টয়লেট দাবি করবে বলে জানিয়েছে৷