সংবাদ শিরোনাম
সেনাসদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা  » «   চিকনাগুল ইউপি’তে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন  » «   নগরভবনের ছাদ থেকে পাইপ পড়ে সেনাসদস্য নিহত  » «   সিলেট সিটি নির্বাচন::প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক পেলেন  » «   সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা  » «   শাল্লার হবিবপুর গ্রামে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু  » «   সিলেটে গণপূর্তের উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা  » «   কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত  » «   এরাবরাক নদীর উপর সেতু উদ্ধোধন-হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কয়েক লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু  » «   ওসমানীনগরের সাজুর লাশ দেশে আসছে রবিবারে  » «   যাদুকাটা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ  » «   মামলার বিচার নিষ্পত্তিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ  » «   জৈন্তাপুরে চারিকাটায় “দি মেঘালয় চা-বাগানের” লীজ বাতিল করে স্থানীয় ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তের দাবী জানিয়ে মানববন্ধন   » «   জৈন্তাপুরে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর প্রশাসনের সহযোগিতায় মসজিদের জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি  » «  

পরীক্ষায় ৮৪, জীবনে ১০০ পেল শালিনী

11সিলেটপোস্ট  রিপোর্ট :  উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা ফার্স্ট বা সেকেন্ড হয়েছে, তাদের থেকে হয়ত বেশ কিছুটা দূরেই আছে ৮৪ শতাংশ নম্বর পাওয়া শালিনী ৷‌ কিন্তু জীবনের লড়াইয়ে একেবারে প্রথমের সারিতে রয়েছে সে, পাঁচ বাড়িতে বাসন মেজে, ঘর মুছেও পরীক্ষায় এত ভাল ফল করে৷‌ নিজের হাতখরচের জন্যে নয়, বাড়তি উপার্জনে সংসারে একটু সাশ্রয় হবে বলেই শালিনী লোকের বাড়ি কাজ করে৷‌ ওর বয়সি বাকি মেয়েরা যখন হয়ত ফাস্ট ফুড আর ফেসবুক নিয়ে মেতে থাকে, শালিনী তখন বাসন মাজে, ঘর ঝাঁড়পোঁছ করে, দরজার সামনে রঙীন আলপনা দেয়৷‌ বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় শালিনী৷‌ ওদের বংশের প্রথম ইঞ্জিনিয়ার৷‌শালিনীদের নিজেদের বাড়ি নেই৷‌ ওর মামা্লমাইমার ছোট ভাড়াবাড়ি ভাগাভাগি করে থাকে দুটো পরিবার৷‌ ওর বাবা আরমুগম দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বহু বছর ঘরবন্দি, কিছু করতে পারেন না৷‌ ভাই সূর্যর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে, এখন ভর্তি আছে হাসপাতালে৷‌ সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম লোক শালিনীর মা, যিনি শুধু নামে নন, কাজেও বিজয়া৷‌ হাসপাতালে অায়ার কাজ করেন আর তার ফাঁক ফোকরে লোকের বাড়ি বাড়ি ঠিকে কাজ৷‌ হাড়ভাঙা খাটুনির মধ্যেও মেয়েকে স্বপ্ন দেখাতে ভোলেননি৷‌নিজে ক্লাস ফাইভের পর আর পড়তে পারেননি, আরমুগমের তো অক্ষর পরিচয়ই নেই, কিন্তু মেয়েকে সবসময় পড়তে উৎসাহ জ৩গিয়েছেন৷‌প্রথমে স্হানীয় এক তামিল মিডিয়াম স্কুল , সেখানে ভাল রেজাল্ট করার পর একটু ভাল একটা কন্নড় মিডিয়াম আর তার পরে আরও ভাল এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল৷‌ ‘কাজের মেয়ে’ শালিনী তাই ইংরেজিতে কখন কাজ করত, কখনই বা পড়ত শালিনী? খুব শত্ত ছিল সময় বের করে নেওয়াটা৷‌ তাই ওর দিন শু হতো রোজ ভোর সাড়ে চারটেয়৷‌ প্রথমে এক বাড়ির দরজায় আলপনা দেওয়া৷‌ সেটা ঘণ্টাখানেকের কাজ৷‌ তার পর অারেক বাড়ি ঝাড়পোঁছের কাজ, আরও দুঘণ্টা৷‌ সেখান থেকে তিন নম্বর বাড়িতে কাপড় কাচা, বাসন মাজা৷‌ সকাল নটা নাগাদ বাড়ি ফিরে জলখাবার খেয়ে পড়তে বসা৷‌ বিকেলে আবার দু’বাড়ি কাজ, কাপড় কাচা, বাসন মাজার৷‌ সন্ধে গড়িয়ে বাড়ি ফিরে বেশি রাত পর্যন্ত পড়াশোনা৷‌দিনরাতগুলো খুব লম্বা আর ক্লান্তিকর ছিল শালিনীর জন্যে, তবু ও হাল ছাড়েনি৷‌ ভাগ্যিস!

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.