আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের জেরে গোটা দেশ জুড়ে জ্বলে উঠেছিল মোমবাতি। সেই মোতবাতির শিখা নিভতে না নিভতেই আবারও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। শুধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নয়, এর সাথে পাশবিক আচরণ করা হয়েছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে। বর্তমানে ওই ছাত্রীর অবস্থা আশংকাকাজনক। যদিও ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় ঘনীভূত হয়েছে রহস্য।
জানা গেছে, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই কিছু যুবক তাকে উত্যক্ত করত। ছাত্রী বাধ্য হয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করে। এরপরেই ওই যুবকরা ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। আশংকাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার কলেজের অধ্যক্ষ আরপি চোপড়া সাংবাদিকদের জানান, এক যুবতী তার কাছে বোনের শ্লীলতাহানির বিষয়ে কথা বলতে এসেছিল। তবে তিনি তাকে বোনের নাম জিজ্ঞেস করলে সে বোনের নাম জানায়নি। তিনি এ বিষয়ে ওই যুবতীকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন। এরপরেই ওই যুবতী তার ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। তার পরে সে কোথায় গিয়েছিল সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরও জানান, ওই যুবতী তাকে পুলিশে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজে ধর্মশালার মহিলা থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
এই ঘটনায় অন্যান্য ছাত্রীরাও জানিয়েছে, ওই যুবতী তাদের বলেছিল বোনের ফোন পেয়েই তিনি ও তার স্বামী দিল্লি থেকে ধর্মশালা এসেছেন। সেই তাকে ফোন করে শ্লীলতাহনির কথা জানিয়েছিল। ছাত্রীরা আরও জানিয়েছে, ওই যুবতীকে ফোনে কেউ প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল। তবে ওই যুবতী কে সে বিষয়ে এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেসেজ ভাইরাল হয়ে উঠেছে। তাতে লেখা রয়েছে, এক ছাত্রী চম্বা জেলার বাসিন্দা। ছাত্রীর বাবা মা নেই। সেখানে লেখা হয়েছে দুষ্কৃতীরা তার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছে তার শরীরের ভেতরের অংশ বাইরে বেড়িয়ে এসেছে।
শোনা গেছে, হাসপাতালেও ওই ছাত্রীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। এই কারণেই চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র পাঠান হচ্ছে। যদিও অন্যত্র পাঠানোও ষড়যন্ত্র বলেই মনে করা হচ্ছে। খবর অনুযায়ী এই ঘটনা হাই প্রোফাইল হওয়ায় মামলা চেপে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও ব্যক্তি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খোঁজ দিতে পারলে তাকে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি সরব হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী কিশন কাপুর জানিয়েছে, আগামী ২৪ মে’র মধ্যে এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। এছাড়াও তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই ঘটনা চেপে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।