![]() তিনি বলেন, অভিযান চলাকালে একটি হেলিকপ্টার ছোট আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে, এতে নৌবাহিনীর একজন পদাতিক সেনা নিহত হন, হেলিকপ্টারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নিরপেক্ষ এলাকায় জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। জরুরি অবতরণের পর হেলিকপ্টারটি ‘মর্টারের গোলাবর্ষণে’ ধ্বংস হয় বলে জানান তিনি। সিরীয় বিদ্রোহীরা বলেছে, জরুরি অবতরণ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হেলিকপ্টারটি উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। এই হামলার ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে তারা। এক মেরিন সেনা নিহত হওয়ার পর বাকী উদ্ধারকারী দলটি ওই এলাকা থেকে নিরাপদে লাতাকিয়ার কাছে রুশ বিমান ঘাঁটি হুমাইমিমে ফিরে আসে বলে জানিয়েছেন রুদস্কোয়। তবে প্যারাসুটে করে নেমে আসা বিধ্বস্ত রুশ বোমারু বিমানের অপর পাইলটের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। সর্বশেষ ফ্রান্সে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার ওরলভ দাবি করেছেন ওই পাইলটকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পন্ন একটি ক্রুজার জাহাজ ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করা হবে। সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর জন্য ‘বিপদ বয়ে আনতে পারার মতো যে কোনো লক্ষ্যবস্তুকে’ এটি ধ্বংস করবে বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এখন থেকে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ায় বিমান হামলারত রুশ বোমারু বিমানগুলোকে পাহারা দেবে। এসব ঘটনার ‘ফলাফল গুরুতর’ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া । আর রাশিয়ার হুমকির জবাবে তুরস্কের পাশে থাকার প্রত্যয় জানিয়েছে ন্যাটো। যুদ্ধবিমান ফেলে দেওয়ার ঘটনাকে ‘পিঠে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানকে ফোন করে বলেছেন, তুরস্কের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। তবে উভয় প্রেসিডেন্ট ‘পরিস্থিতি নমনীয় করার গুরুত্ব সম্পর্কে একমত হয়েছেন’ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তুরস্কের আকাশে রুশ বোমারু বিমানকে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তুরস্ক। কিন্তু পুতিন বলেছেন, সিরিয়ার আকাশে থাকাকালেই এসইউ-২৪ বোমারু বিমানটিকে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। রুশ বিমানটি মাত্র ১৭ সেকেন্ড সময় তুর্কি আকাশ সীমায় ছিল বলে স্বীকার করেছে তুরস্ক। অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে রাশিয়ার বিমানকে গুলি করা ন্যাটোর প্রথম সদস্যরাষ্ট্র তুরস্ক। এ ঘটনায় মস্কোর জবাব কী হবে সেটিই এখন প্রশ্ন। বিবিসি। |
সিলেটপোস্ট২৪ডটকম/ফয়ছল আহমদ/২৫.১১.২০১৫