সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :ইরানের খাতামুল আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফারজাদ ইসমাইলি বলেছেন, গত বছর ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পরও মার্কিন সামরিক বিমানকে গুলি করা থেকে বিরত ছিল ইরান।তিনি বলেন, মার্কিন বিমানটি অবৈধভাবে ইরানের আকাশে ঢুকেছিল এবং একে ধ্বংস করার অধিকার ইরানের ছিল। কিন্তু আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে তড়িঘড়ি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়নি ইরান। সিরিয়ার আকাশে তুরস্ক রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন জেনারেল ইসমাইলি।তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী যে কোনো বিমানকে প্রথমেই গুলি করে নামানোর পদক্ষেপ নেয়া হয় না।তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যে পদক্ষেপ সবার শেষে নেয়ার কথা তা একেবারে শুরুতেই নেয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এটি করা উচিত।রুশ বিমান ভূপাতিত করার বিষয়ে জেনারেল ইসমাইলি আরো বলেন, তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি ন্যাটো এবং রাশিয়া খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে হরমুজগান প্রদেশের বন্দর আব্বাসে একটি বিমান অবতরণ করতে বাধ্য করেছিল ইরান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স থেকে ভাড়া করা বিমানটি আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি থেকে আকাশে উড়েছিল। ওই বিমানে শতাধিক মার্কিন সেনা ছিল।
প্রথমে বিমানটিকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে আফগানিস্তানে ফেরার মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেই বলে জানানোর পর বন্দর আব্বাসে নামার নির্দেশ দেন ইরানি কর্মকর্তারা। একে প্রথমে বেসামরিক বিমান হিসেবে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে সামরিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সেনাসদস্যদের বহন করেছিল বলে একে সামরিক বিমান হিসেবে অভিহিত করে ইরান।