সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তুরস্কের কথিত তেল বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান চ্যালেঞ্জ করার পর রাশিয়ার লৌহমানব কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন।তুর্কি প্রেসিডেন্ট চ্যালেঞ্জ জানানোর পর দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে মুখ খোলেননি পুতিন।পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।পেসকভকে রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা তাস প্রশ্ন করেছিল আকাঙ্কারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মস্কো আইএস ও তুরস্কের মধ্যে কথিত তেল বাণিজ্যের প্রমাণ জনসমক্ষে উপস্থাপন করবে কিনা।জবাবে পেসকভ বলেন, ‘এটা কোনো নতুন বিবৃতি নয়। এক্ষেত্রে কারো দাবির পক্ষে তথ্য থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাকে প্রমাণ করার চেষ্টাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু (গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংক্ষেপে এ তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।’
পেসকভ বলেন, এরদোগানের দোষ ধরা পুতিনের লক্ষ্য ছিল না। তবে পেসকভ এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।সোমবার প্যারিসে পুতিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস করার সব রকমের কারণ রয়েছে যে, তেলের চালান নিশ্চিত রাখার জন্যই তুরস্ক আমাদের যুদ্ধবিমান বিমান ভূপাতিত করেছে।’এর জবাবে এরদোগান বলেছেন, পুতিন তার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন।‘আমি এখন কিছুটা কড়া কথাই বলব। এ ধরনের বিষয় যদি প্রমাণ করা যায় তাহলে আমাদের জাতির মহত্ব বজায় রেখে আমার সরে যাওয়া দরকার,’ প্যারিসে বলেন এরদোগান।এরদোগান বলেন, ‘আমি মিস্টার পুতিনকে বলব, (অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে) আপনার কি পদ ধরে রাখা উচিত হবে? আমি এটা স্পষ্ট করেই বলছি।’২৪ নভেম্বর তুরস্কের আকাশসীমায় রুশ জঙ্গিবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার পর রাশিয়া ক্রোধান্বিত হয়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলেও তাকে আমলে নেয়নি তুরস্ক।তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার রাশিয়ার উদ্দেশে এরদোগান বলেন, ‘শান্ত থাকুন এবং আবেগের বশে কাজ করবেন না।’এরদোগান বলেন, তুরস্ক তার সমস্ত তেল ও গ্যাস বৈধ পথেই আমদানি করে থাকে।এরদোগান বলেন, প্রত্যেকের জানা উচিত যে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে এ ধরনের বিনিময় করবে না তুরস্ক।