সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :সিলেটের রাজনীতি সিলেট থেকে যতোটা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে যুক্তরাজ্য থেকে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা যুক্তরাজ্যে অবস্থানে করায় প্রতিনিয়তই সেখানে ধরণা দিচ্ছেন সিলেটের নেতারা। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটিতে স্থান পেতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কৃপা লাভের আশায় যুক্তরাজ্যে ছুটে যান অনেক নেতাই। সাম্প্রতিক সময় সিলেটে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অনেক নেতাই সিলেট টু যুক্তরাজ্য সফরে ব্যস্ত রয়েছেন।জানা যায়, বর্তমানে সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক পদটি শূন্য রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এই শূন্য পদে বসতে চাচ্ছেন সিলেট আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতা। এজন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শেখ রেহানার আশির্বাদ পেতে সেখানে ছুটছেন তারা। এদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও শিগগির ঘোষিত হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। এসব কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবী পেতে কয়েকজন নেতা যুক্তরাজ্য গিয়ে শেখ রেহানার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে এসেছেন।
এদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছে। একইসাথে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল, যুবদলের কমিটিও পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে। এসব কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিতে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তদবির করতে যুক্তরাজ্যে ছুটছেন সিলেটের নেতারা। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত ডজনখানেক নেতা যুক্তরাজ্য সফর করে তারেক রহমানের সুদৃষ্টি লাভের চেষ্টা করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।এদিকে, সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম উদ্দিন এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট-২ আসনের সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়াও যুক্তরাজ্য প্রবাসী। সিলেটে জাতীয় পার্টি নিয়ন্ত্রণে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের মাধ্যমে পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ ও রওশন এরশাদের আর্শিবাদ পেতে নেতাকর্মীরা সেলিম-এহিয়ার শরণাপন্ন হচ্ছেন। এদিকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী রাজনৈতি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাদের পছন্দের কিন্তু অযোগ্য অনেক নেতাকেই পদ পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের ক্ষোভ থাকলেও অসহায়ত্ব ছাড়া তাদের কিছুই করার থাকে না।