সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্দিনো শহরের প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে হামলাকারী দু’জনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গুলি, বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারী সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক (২৮) এবং অপরজন তাসফিন মালিক (২৭) নিহত হওয়ার পর পুলিশ এ অভিযান চালায়। আক্রমণের উদ্দেশ্যের বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠীর সঙ্গে এ দম্পতির যোগসূত্র খুঁজছে পুলিশ।বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারীদের বাড়ি থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র ও এক হাজার রাউন্ডের মতো গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই হামলার মোটিভ খুঁজে পায়নি বলে জানা গেছে।অপর একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকে ৫হাজার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সান বার্নার্দিনোর পুলিশ প্রধান জার্ড বারগান জানিয়েছেন, তাদের আক্রমণ আরো অনেক পরিকল্পনার নির্দেশ করছে। তারা হয়তো আরো আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। লসএঞ্জেলসের এফবিআই’এর সহকারী পরিচালক ডেভিড বোদিস বলেন, ‘আমরা জানি এখানে তাদের অবশ্যই উদ্দেশ্য ছিল। তবে আমরা জানতে পারিনি, তারা এই হামলা কেন চালিয়েছে ?জানা গেছে, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ক্যালিফোর্নিয়ায় সাউর্দানে একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে সামরিক পোশাকে সজ্জিত হয়ে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। হামলায় ১৪ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হন। এর ঘণ্টাখানেক পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য বংশোদ্ভূত ফারুক ইংল্যান্ডের একটি সমাজসেবা সংস্থার যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিল। একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনিই প্রথম গুলিবর্ষণ শুরু করেন। আর আক্রমণ চালানের আগে রিজওয়ান ও তাসফিন তাদের ছয় মাস বয়সী মেয়েকে বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। ফারুকের শ্যালক ফারহান খাঁন ওই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি খুবই মর্মাহত। আসলে আমি মানতে পারছি না তারা এ ধরনের কাজে কখনও জড়িত হতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘তার বোনের স্বামী সৈয়দ ফারুক আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স কাউন্সিলে কর্মরত ছিল। সপ্তাহখানেক আগেও তার সঙ্গে কথা হয়।’গত এক সপ্তাহ আগে কলোরাডোর একটি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনজন নিহত হবার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যথাযথ পদক্ষেপ দিতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান। এর কয়েক দিনের মাথায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।