সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :‘বাংলাদেশে মাছ ভোক্তা লেভেলে মানসম্মতভাবে পৌছানোর জন্য প্রসেসিং ও প্যাকেজিংয়ে বায়োসিকিউরিটি এত পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে মানা হয় তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না । একজন মৎস্যবিদ হয়ে মাছ উৎপাদন ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ভোক্তাদের মধ্যে পৌঁছাতে অবদান রাখতে পারবো ভেবেই ভালো লাগছে।’ এভাবেই বললেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষার্থী ছাদেকুল আমান ভূঁইয়া। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদ ৬ষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ মাসের শুরুতে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিক্ষাসফরে যায়। শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি হাতে কলমে দক্ষ করতেই এ শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়।ফিসারিজ অনুষদ ৬ষ্ট ব্যাচের ৬৯ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহন করে। সফরের ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ফিসারিজ টেকনোলজি এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে ড. মো. আবু সাঈদ, ড. মো. মোতাহের হোসেন ও ড. মো. আবু জাফর বেপারী।শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুলিয়ারচরের কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে সকালের দিকে পৌঁছান। এরপর ইউনিটের নিয়মানুযায়ী বায়োসিকিউরিটি গ্রহন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মূল ইউনিট ঘুরে দেখেন। এসময় শিক্ষার্থীরা মাছ প্রসেসিং, চিলিং ও প্যাকেজিংয়ের অত্যাধুনিক প্রক্রিয়াকরন পদ্ধতি দেখেন। হ্যাজার্ড এনালাইসিস এন্ড ক্রিটিক্যাল কন্ট্রোল পয়েন্ট (ঐঅঈঈচ) প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত কার্যপ্রণালী শিক্ষার্থীরা অবলোকন করেন। মাছের এক্সপোর্ট কোয়ালিটি নিশ্চিতকরনের বিভিন্ন দিক নিয়েও কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। এসময় ডিরেক্টর মো. আলমগীরসহ ফ্রেশ ওয়াটার ইউনিটের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ট্যুরের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর এ বিষয়ে ফিসারিজ টেকনোলজি এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পূর্ণতা পেল। একজন দক্ষ মৎস্যবিদ হওয়ার জন্য মাছের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও নিত্যনতুন টেকনোলজি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সম্যক ধারনা দিতে এ সফর কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে।’