সিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জঙ্গি সন্দেহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিন করে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, আটক এই ১৪ জনকে ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজির করে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালতে শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে পুলিশের দাবি গত সোমবার রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশের খন্দকার ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে এই ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আমিনুর (৩১), আবদুল আলীম (৩৩) ও শাহ আলম (২৮), গোলাম জিলানী (২৬), নূরুল আমিন (২৬) ও মাহমুদুল হাসান (৩০), জাফর ইকবাল (২৭) এবং আকরাম হোসেন (২৭)। আবদুল আলী (৪০), আশরাফ আলী (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩৬), আলম মাহবুব (৩৪), ডলার পারভেজ (৩৫) ও মোহাম্মদ জসিম (৩৩)।
আদালত সূত্র জানায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় এই ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়।
অপর এক সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক মো. মোস্তফা আনোয়ার প্রত্যেককে সাত দিন করে হেফাজতে (রিমান্ডে) নেয়ার আবেদন করেন। এরপর আদালতে শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে চারদিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত এই ১৪ জন সিঙ্গাপুরে কাজ করতেন। সেখানে তারা নিজেদের মধ্যে একে অপরের সম্পর্ক ও পরিচয়ের পর তারা জঙ্গি কার্যক্রম করতেন। এ অভিযোগে সিঙ্গাপুরের পুলিশ তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে আটক করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার ১৭ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৪০ মিনিটের সময় সিঙ্গাপুরের একটি বিশেষ বিমানযোগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পাঠায়। এরপর তাদেরকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তবে পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা বাংলাদেশে আসার পর সংগঠিত হয়ে জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর তাদেরকে গ্রেফতারের পর তাদের সঙ্গে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত অপর সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য এদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে।
উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামিরা সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্কেটের কাছে অ্যাঙ্গোলিয়া মসজিদে মিলিত হয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে আলোচনা করতেন।
আর ওই মসজিদে তারা প্রত্যেক রোববার সন্ধ্যায় একত্র হয়ে জিহাদি বক্তব্য, বয়ান ও জিহাদি ভিডিও প্রদর্শন করতেন। সিঙ্গাপুর পুলিশের কাছে জঙ্গি কার্যক্রমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপর তাদেরকে আটক করে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। উওরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবু বকর মিয়া শীর্ষ নিউজকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।