সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
রোববার সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে দেশে ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন না করায় খালেদা জিয়ার সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারানা হালিম।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তারানা হালিম বলেন, একটা দেশের বড় রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন, তার কাছে আরও বেশি সচেতনতা আশা করে জনগণ। ১১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ যে কষ্টটা করেছেন, সে কষ্টটা উনি কেন করতে পারেননি, এটা একটু হতাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে একজন সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করবেন। এখানে আমরা একটু কষ্ট পেয়েছি, একটু হতাশ হয়েছি যে যেহেতু তিনি করেননি, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তিনি করলে আমরা খুশি হতাম।’
তবে খালেদা জিয়া চাইলে এখনও নিয়ম মেনে সিম নিবন্ধন করিয়ে নিতে পারেন জানিয়ে তারান হালিম বলেন, ‘তাকে সিমটি কিনে নিতে হবে। যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে নিতে হবে। অপারেটররা যে সুযোগ দিয়েছিলেন, এক থেকে ৪ জুন, সেই সময়ে করলে বিনা পয়সায় করতে পারতেন। সেই সুযোগটিও তিনি গ্রহণ করেননি। এখন তিনি সিম কিনে নিতে পারেন। নিয়ম সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। উনি করে নেবেন আশা করি।’
রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে থাকা সবাই একই কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তিন বাহিনীর প্রধান করেছেন, সকল মন্ত্রী করেছেন, প্রতিমন্ত্রী করেছেন, মাননীয় স্পিকার করেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা (সজীব ওয়াজেদ জয়) করেছেন, সকল সচিব করেছেন, সেনা বাহিনীর সদস্যরা করেছেন…।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধনে সবার জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য। কোন মন্ত্রীর সিম যদি অনিবন্ধিত থেকে থাকে, তাহলে সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন