সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :নিজেদের প্রাণ রক্ষা ও ভূমি রক্ষার জন্য সাংবাদিক মহল সহ প্রশাসনের সাহায্য কামনা করেছেন শাহপরান থানায় কানুগুল গ্রামের সিতেন দেবনাথ। তিনি ঐ এলাকায় মৃত মহেন্দ্র দেব নাথের ছেলে। রোববার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভূমিখেকোদের উৎপাত ও জবরদখলের কারণে তিনি তার সম্পত্তিতে ভোগ-দখল করতে পারছেন না। এই ভূমির দখলকে কেন্দ্র করে প্রতি মূহুর্তে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন। দখলদাররা বিভিন্ন সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেছে। তিনি বলেন, পূর্বপুরুষ (দাদু) মৃত দিনাই নাথ উনার দুই ছেলে দেবেন্দ্র নাথ, মহেন্দ্র নাথ এবং স্ত্রী চিন্তামণি দেবীকে রেখে উনার সম্মপতি এসএ রেকর্ডভূক্ত হওয়ার আগেই মারা যান। পরবর্তীতে উনার সম্মপতি স্ত্রী, চিন্তামণি দেবী এবং দুই সন্তান দেবেন্দ্র নাথ ও মহেন্দ্র নাথ এর নামে এসএ রেকর্ডের খতিয়ান নং- ৯৪, জেল এল নং- ৬৫, এর ১৪৪২ দাগে মোট ১৭৭ শতাংশ ভূমি রেকর্ডভূক্ত হয় এবং ৩অংশে সমানভাগে মোট ৫৯ শতাংশ করে ভূমির অংশীদার হন। দেবেন্দ্র নাথ মারা যাওয়ার পর ১৯৭৫ সনে উনার স্ত্রী শেফালী বালা দেবী ১৪৪২ নং দাগের ৮২৭৪ নং দলিলে ১৪.৭৫ শতাংশ ও ৮২৭৭ নং দলিলে ১৪.৭৫ শতাংশ করে মোট ২৯.৭৫ শতাংশ করে মোট ২৯.৫০ শতাংশ ভূমি তখলিস আলী, মুজিবুর রহমান গং এর কাছে বিক্রি করেন এবং একই দাগে উনার অংশের বাকি ভূমি ৮২৭৫ নং দলিলে ১৪.৭৫ শতাংশ ও ৮২৭৬ নং দলিলে ১৪.৭৫ শতাংশ করে মোট ২৯.৫০ শতাংশ ভূমি জায়েদ বকস ও ফিরুজ বক্সের কাছে বিক্রি করেন।
পরবর্তীতে তিনি ২০০২ সালের ১৩ মার্চ ৩৬১০ নং দেিলল ১৪৩০ নং দাগে ৩৪.০০ শতাংশ ও ১৪৩৩ নং দাগে ৯ শতাংশ করে মোট ৪৩ শতাংশ ভূমি তখলিস আলী, মুহিবুর রহমান গং এর সাথে বিনিময় করে ১৪৩৬নং দাগে ২.৫০ শতাংশ, ১৪৪৩নং গাদে ৫.৫০ শতাংশ ১৪৪২ দাগে ২৯.৫০ শতাংশ ও ১৪৩৫ নং দাগে ৯ শতাংশ করে মোট ৪৬.৫০ শতাংশ ভূমির মালিকানা লাভ করেন।
তিনি তার স্বত্ব ৩৬১০নং দলিলের অধীন ১৪৪২ দাগের ২৯.৫০ শতাংশ ভূমি দীর্ঘদিন ধরে নির্বিঘেœ ভোগদখল করে আসছিলেন। ২০১৩ সালের জুন মাসে কিছু লোক ১৪৪২ দাগের এই ভূমির উপর ইট বালু রড সহ নির্মাণ সামগ্রী রেখে যায়। এক পর্যায়ে জায়গার উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। এতে বাধা দিলে তারা বাধা না মানায় শাহপরান থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি। জিডি নং- ৮৩৫। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে। মামলা দায়ের করার ৩ দিন পর থেকে তারা পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে দফায় আবারো নির্মাণ কাজ চালাতে থাকে। এ অবস্থায় ২ জুলাই অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করি পরবর্তীতে হাকিম আদালত এই মামলার সুনানী না করেই নথি জারি করলে, তিনি শুনানীর জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন। সিতেন তার জীবন ও ভূমি রক্ষার জন্য সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন।