সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :সিলেট নগরীর আম্বরখানায় চাদা না পেয়ে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌণে ১১টার দিকে আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ সুরমা বাজারে (ন্যায্য মূল্যের দোকান) এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় সন্ত্রাসীরা ৬০ হাজার ২০০ টাকা লুটে নেয়। হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় হামলার দৃশ্য ধরা পড়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তিন সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সুরমা বাজারের ব্যবস্থাপক শাহ কাওসার আলম চৌধুরী।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা হয়েছে তারা হলেন- নগরীর গোয়াইটুলার মল্লিকা ৫২/১ নম্বর বাসার সেপুল মিয়া ওরফে সেবুলের ছেলে ইমন, একই এলাকার রাফি ও শাহজালাল উপশহরের কামালী খন্দকারের ছেলে সোহান খন্দকার।
কাওসার চৌধুরী জানান- গত কয়েকদিন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুর পর থেকে একদল সন্ত্রাসী বিভিন্ন সময় চাদা দাবি করে আসছে। দুই লাখ টাকা চাদা না দিলে ওই স্থানে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাত পৌণে ১১টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের প্রস্তুতিকালে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এসে আবারও চাদা দাবি করে। চাদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার চাচা জামিল উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মচারীদের অকথ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুটের চেষ্টা করে। তখন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা কাওসার, তার চাচা ও অন্যান্য কর্মচারীদের মারধর শুরু করে।
কাওসার আরও জানান- বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা ক্যাশ বাক্স পর্যন্ত পৌঁছতে না পেরে তাকে টেনে হিঁচড়ে পরণের প্যান্টের পকেট থেকে ৬০ হাজার ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তার চাচা জামিল চৌধুরী প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
দোকানের কর্মচারীদের শোরচিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ী ও লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতাবস্থায় জামিল চৌধুরীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলাকালে দোকানের আরো অন্তত ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্য দেখে তিন সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের একাধিক দল ক্ষতিগ্রস্থ সুরমা বাজার পরিদর্শন করে।
হামলা ও লুটের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সুরমা বাজারের ব্যবস্থাপক কাওসার চৌধুরী।