সংবাদ শিরোনাম
সেনাসদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা  » «   চিকনাগুল ইউপি’তে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন  » «   নগরভবনের ছাদ থেকে পাইপ পড়ে সেনাসদস্য নিহত  » «   সিলেট সিটি নির্বাচন::প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক পেলেন  » «   সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা  » «   শাল্লার হবিবপুর গ্রামে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু  » «   সিলেটে গণপূর্তের উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা  » «   কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত  » «   এরাবরাক নদীর উপর সেতু উদ্ধোধন-হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কয়েক লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু  » «   ওসমানীনগরের সাজুর লাশ দেশে আসছে রবিবারে  » «   যাদুকাটা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ  » «   মামলার বিচার নিষ্পত্তিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ  » «   জৈন্তাপুরে চারিকাটায় “দি মেঘালয় চা-বাগানের” লীজ বাতিল করে স্থানীয় ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তের দাবী জানিয়ে মানববন্ধন   » «   জৈন্তাপুরে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর প্রশাসনের সহযোগিতায় মসজিদের জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি  » «  

রোজা অবস্থায় ভুলে পানাহার করলে করণীয়

4সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্য পালনীয়।

যেসব কারণে রোজা নষ্ট হয়:

১. নাক বা কানে ওষুধ প্রবেশ করালে।
২. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে।
৩. কুলি করার সময় গলার মধ্যে পানি চলে গেলে।
৪. নারী স্পর্শ বা এ সংক্রান্ত কোনো কারণে বীর্য বের হলে।
৫. খাদ্য বা খাদ্য হিসেবে গণ্য নয় এমন কোনো বস্তু গিলে ফেললে।
৬. আগরবাতি ইচ্ছা করে গলা বা নাকের মধ্যে প্রবেশ করালে।
৭. বিড়ি সিগারেট পান করলে।
৮. ভুলে খেয়ে ফেলার পর ইচ্ছা করে পুনরায় খাবার খেলে।
৯. সুবেহ সাদিকের পর খাবার খেলে।
১০. বুঝে হোক বা না বুঝে সূর্য ডোবার আগে ইফতার করলে।
১১. ইচ্ছা করে স্ত্রী সহবাস করলে।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়:

১. বিনা কারণে জিনিস চিবিয়ে বা লবণ কিংবা কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করা। যেমন টুথপেস্ট, মাজন, কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজা।
২. গোসল ফরজ অবস্থায় সারাদিন গোসল না করে থাকা।
৩. শরীরের কোথাও শিঙ্গা ব্যবহার করা বা রক্তদান করা।
৪. পরনিন্দা করা।
৫. ঝগড়া করা।
৬. রোজাদার নারী ঠোঁটে রঙিন কোনো বস্তু লাগালে যা মুখের ভেতর চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৭. রোজা অবস্থায় দাঁত উঠানো বা দাঁতে ওষুধ ব্যবহার করা, তবে একান্ত প্রয়োজনে তা জায়েয।

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না কিংবা মাকরুহও হয় না:

১. মিসওয়াক করলে।
২. মাথায় বা শরীরে তেল লাগালে।
৩. চোখে ওষুধ বা সুরমা লাগালে।
৪. গরমের কারণে পিপাসায় গোসল করলে।
৫. সুগন্ধি ব্যবহার করলে।
৬. ইনজেকশন বা টিকা দিলে।
৭. ভুলক্রমে পানাহার করলে
৮. ইচ্ছা ছাড়াই ধুলাবালি বা মাছি ইত্যাদি প্রবেশ করলে।
৯. কানে পানি প্রবেশ করলে
১০. দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত বের হলে।

রোজা অবস্থায় কেউ যদি ভুলে পানাহার করে; তবে তার করণীয় কী হবে? এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদিস পাওয়া যায়। যা তুলে ধরা হলো-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে পান করিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, রোজা পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার করণীয় হলো রোজাকে পূর্ণ করা। কারণ ভুলে পানাহারে তার রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং যখনই রোজার কথা স্মরণ হবে সঙ্গে সঙ্গে পানাহার ত্যাগ করতে হবে। মুখে খাবার থাকলে স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুখ থেকে ফেলে দিতে হবে। এবং কেউ যখন রোজা পালনকারীকে (ভুলবশত) পানাহার করতে দেখবে তখন তার উচিত রোজার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া।

আল্লাহ তাআলা রোজার দিনে সকল প্রকার ভুল ও পেরেশানি থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.