ডেস্ক রিপোট :সিলেটে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের টিআই সেলিম-এর কারনে অতিষ্ট নগরীর আম্বরখানা-মদিনা মার্কেট এলাকাবাসী।এলাকার সব পাড়া মহল্লার ব্যবসায়ী,পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নিয়মিত গুনতে হয় ট্রাফিকের চাঁদা। চাঁদা না দিলে পাড়া মহল্লায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন তিনি। ফলে এলাকার ছাত্রছাত্রীসহ লোকজনের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যিাটারী চালিত টমটম ও রিক্সা চলাচালের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এসএমপি। এর পর থেকে তক্বদীর খোলে যায় টিআই সেলিমের মত অসাধু ট্রাফিক কর্মকর্তাদের। তারা দৈনিকহারে টাকার বিনিময়ে পাড়ামহল্লার রাস্তায় ব্যাটারী চালিত টমটম ও রিক্সা চালানোর অনুমতি দেন। সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে মদীনা মার্কেট এলাকা টিআই সেলিমের দখলে। এসএমপির উর্ধতন কর্তা-ব্যাক্তিদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে তিনি এ এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এলাকার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অভিযোগ,ট্রাফিক পুলিশের টিআই সেলিমকে দৈনিক ১শ’ টাকা করে দিয়ে ওই এলাকার সবক’টি পাড়ার রাস্তায় টমটম ও ব্যাটারীচালিত রিক্সা চালাতে হয়। টাকা না দিলে পাড়ার ভেতর থেকে গাড়ি আটক করে নিয়ে যান সেলিম। পরে তা সুনামগঞ্জ রোড থেকে আটক করেছেন বরে মামলা দেন। এভাবে টিআই সেলিম নগরীর আম্বরখানা- মদীনা মার্কেট এলাকাধীন প্রায় অর্ধশত টমটম ও ব্যাটারী চালিত রিক্সা থেকে দৈনিক ১শ’টাকা হারে চাঁদা আদায় করে থাকেন। প্রতিটি পাড়ার রাস্তায় চাঁদা আদায়ের জন্য কমিশনে একেক জনকে এজেন্ট রেখে দিয়েছেন টিআই সেলিম। টিআই সেলিম যেখানে কর্মরত থাকেন না কেন রাতে গিয়ে কমিশন কেটে এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যান। সিলেট সনামগঞ্জ রোডস্থ হাউজিং স্টেট রাস্তায় চলাচলকারী ২০টি টমটম ও ৩০টি ব্যটারী চালিত রিক্সা থেকে টমটম প্রতি দৈনিক ১শ’ টাকা এবং ব্যটারী রিক্সা প্রতি দৈনিক ৫০টাকা হারে টাকা আদায় করেন সেলিম। সুনামগঞ্জ রোড থেকে জালালাবাদ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী প্রায় ২০টি টমটম ও ৩০টিরও বেশী ব্যাটারী চালিত রিক্সা থেকে, সুনামগঞ্জ রোড থেকে বনকলাপড়া রাস্তায় চলাচলকারী ১৫টি টমটম ও ২০টি ব্যটারী চালিত রিক্সা থেকে, পাঠানটুলা তারাপুর রাস্তায় চলাচলকালী ১৫টি টমটম ও প্র্য়া ৩০টি ব্যটারী রিকাসা থেকে, গুয়াবাড়ি রাগীব আলী হাসপাতাল রাস্তায় চলাচলকারী ২০টি টমটম ও ৩০টিরও বেশী ব্যটারী রিক্সা থেকে চাঁদা আদায় করেন টিআই সেলিম। টমটম প্রতি ১শ’ এবং ব্যটারী চালিত রিক্সা প্রতি ৫০টাকা হারে দৈনিক কমপক্ষে ২০হাজার টাকা অবধৈ চাঁদা আদায় করেন টিআই সেলিম। এ কয়েকটি পাড়ার রাস্তা থেকে টিআই সেলিমের মাসিক অবৈধ আয় প্রায় ৩লাখ টাকা। এ টাকার ভাগ রাজনৈতিক নেতাসহ উপরওলাদের দিতে হয় বলে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের জানান তিনি।
এ ব্যাপারে টিআই সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭৭৮-৬৬৭৭৭৭) বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন নি। সুত্র খলিলুর রহমান- মেইল