সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :আদি যুগ থেকে গ্রামীন জনপদে প্রতিটি বাড়ীতে মানুষের খাবারের চাল তৈরী করত ঘড়ের বধুরা। তারা ধান সিদ্ধ করে তা শুকিয়ে উড়–ন গাইন এর মাধ্যমে কায়িক পরিশ্রম করে চাল উৎপন্ন করত। গ্রামের বধুরা দলবেধে একটি উড়–নে ২-৩জন করে এক সাথে ধান ভাংতো আর সুর করে গীত গাইত।
বাড়ীর বধুরা ভোরে ওঠে ১০-১৫কেজি ধান ভেঙ্গে সকালের খাবারের চাল যোগান দিত। ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কাছিরন বিবি(৭৫)সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান,‘হামরা গাবুর বয়সে ঝুমুর ধরি ধরি ধান ভাংছি। হামরা তিন জাও (দেবরের স্ত্রী)ভোরে ধুম থাকি ওঠি একমন ধান ভাংগি সেই চাল আন্দি হালুয়ার ঘরক খোয়ইছি।
এলা সেই উড়–ন গাইন নাই। রসুলপুর গ্রামের বৃদ্ধ ঝলকভান নেছা (৮০) বলেন, ‘আগে বিয়ার বাড়ী পিঠার আটা হামরা উড়–নত ভাংছি । সেই আটার পিঠার কি স্বাদ আছিল। এলা কলের আটার পিঠা সেই স্বাদ নাই’। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান,২০বছর আগেও গ্রামের নারীরা উড়–ন গাইন দিয়ে ধান ভাঙত। এতে করে নারীদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকত। উড়–নের চাউলের ভাতের প্রোটিন ও স্বাদ আলাদা পাওয়া যেত। এখন কলে ভাঙ্গা চাল সবই এক।