সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :এবার নীতিমালা ভঙ্গ করে চুক্তি করার অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংক ও গ্রামীণ ফোনের বিরুদ্ধে। ইন্টারনেট সেবা দিতে লাইসেন্স নীতিমালা ভঙ্গ করে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে গ্রামীণ ফোন চুক্তি করেছে এমন অভিযোগে এনেছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা(বিটিআরসি)। অভিযোগ মতে, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে সোনালী ব্যাংককে। যা মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স নীতিমালার পরিপন্থি।
এজন্য গ্রামীণ ফোন ও সোনালী ব্যাংককে কারণ দর্শানোর চিঠি এবং অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। একইসঙ্গে কেন জরিমানা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে গ্রামীণ ফোনের কাছে।
সূত্র জানিয়েছে, ইন্টারনেট সেবা পেতে সোনালী ব্যাংক একটি চুক্তি করে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী সোনালী ব্যাংককে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিতে শুরু করেছে গ্রামীণ ফোন। সোনালী ব্যাংকের সকল শাখাকে অনলাইনের আওতায় আনার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের একটি অংশ এটি।
অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ৫৫১টি শাখাকে এ সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণ ফোন। চার্জ হিসাবে প্রতিটি শাখা থেকে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা নেয় গ্রামীণ ফোন।
বিটিআরসি জানায়, আইন অনুযায়ী দেশের কোন মোবাইল অপারেটর কাউকেই অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে না।
অপটিক্যাল ফাইবার মূলত ব্রডব্যান্ড লাইন হিসেবেই পরিচিত। এতে ক্যাবল লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়।
বিটিআরসি’র নীতিমালা অনুযায়ী, গ্রামীণ ফোন শুধুমাত্র তাদের ইন্টারনেট সেবা মোবাইল ও মডেম বা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন লাইসেন্সের নীতিমালা ভঙ্গ করে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং সেবা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, দুটি ইন্টারনেট সার্ভিস সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান অগ্নি সিস্টেম ও এডিএন টেলিকমের মাধ্যমে এ সেবা দিয়েছে গ্রামীণ ফোন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(আইএসপিএবি) এর সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক শীর্ষ নিউজকে বলেন, বিটিআরসি’র নীতিমালা অনুযায়ী শুধুমাত্র আমরাই পারি ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগ দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দিতে। কোন মোবাইল অপারেটর তা পারে না।
সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে করা চুক্তিতে বিটিআরসির অনুমোদন ছিল এমন দাবি করে গ্রামীণ ফোনের যোগাযোগ বিভাগের ডিজিএম মো. হাসান শীর্ষ নিউজকে বলেছেন, এ বিষয়ে বিটিআরসির কাছ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত কোন তথ্য পাইনি। তাই কোন মন্তব্য করা সমীচীন হবে বলে মনে করছি না। বিটিআরসির কাছ থেতে যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা পেলে পরবর্তীতে জানাতে পারবো, কেনো বিটিআরসির পূর্বেকার অনুমোদন প্রত্যাহার করা হলো।
সোনালী ব্যাংকের বক্তব্য জানতে এ প্রতিবেদক একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।