সিলেটপোস্ট রিপোর্ট:তিনটি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ব্যবসায়ী আজির উদ্দিন হত্যা মামলা ছাড়া অন্য দু’টি মামলার তদন্তের ভার গেছে পুলিশের সহযোগী সংস্থা ডিবি ও পিবিআই’র কাছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুন হত্যা মামলা নগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তরিত হয়েছে। আর তাজুল হত্যা মামলাও তদন্তের আগ্রহ প্রকাশ করেছে পিবিআই। এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নিতে লিখিতভাবে আবেদন করেছে পুলিশের এ সংস্থাটি। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, নগরীর অ্যালিগ্যান্ট শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী মামুন হত্যা মামলা ইতোমধ্যে ডিবিতে স্থানান্তরিত।এছাড়া তাজুল হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব নিতে আবেদন করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দু’এক দিনের মধ্যে এ মামলাটিও পিবিআইতে স্থানান্তরিত হবে।এদিকে সিলেটের লালবাজারে ব্যবসায়ী আজির উদ্দিন হত্যা মামলা দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ তদন্ত করছে। তবে খুনের ঘটনার পরদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউরগত ২০ আগস্ট রাত ১০টায় সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলায় তাজুল ইসলামকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।১৯ আগস্ট রাতে দক্ষিণ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে ব্যবসায়ী আজির উদ্দিন হত্যার ঘটনায় জড়িত হিসেবে উঠে এসেছে রাজনৈতিক প্রভাবশালীর নাম।এরআগে ১৬ আগস্ট নগরীর জল্লারপাড় অ্যালিগেন্ট শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুনকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি সুলায়মান আহমদ চৌধুরী। কিন্তু খুনের ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এ ব্যাপার মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ফৌজদারি অপরাধ ঘটলে পুলিশের যে দায়িত্ব থাকে, সেখান থেকে পুলিশ শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। অপরাধী যারাই হোক ছাড় দেওয়া হবে না।