সিলেটপোস্ট রিপোর্ট:সিলেটের ওসমানীনগরে কোরবানির দুই পশুর হাটে পশু বিক্রি নিয়ে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউপির শতাধিক বছরের পুরনো খন্দকার বাজারে সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার পশুর হাটসহ অন্য সামগ্রীর হাট বসে। খন্দকার বাজারের পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার মাদ্রাসা বাজার সপ্তাহে প্রতি বুধ ও রোববার হাট বসছিল। সম্প্রতি মাদ্রাসা বাজারের ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্টরা খন্দকার বাজারের হাটবারের দিন তাদেরও হাট শুরু করায় খন্দকার বাজারের পশুর হাটসহ ইজারাদারদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে খন্দকার বাজার ইজারাদারদের পক্ষ থেকে গত বছর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী ভূমি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি ইজারাদাররা। এ নিয়ে গত বছর উভয় বাজারের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এবারও আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খন্দকার বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা তাদের হাটবারের দিন মাদ্রাসা বাজারের হাটবার পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
খন্দকারবাজার পশুর হাটের ইজারাদার ফারুক মিয়া বলেন, আমাদের শতাধিক বছরের পুরনো বাজারে সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার হাট বসে। কিন্তু মাদ্রাসা বাজারের পক্ষ থেকে বাজারের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার জন্য আমাদের হাটবারে তাদের হাট বসা শুরু করেছে। বিষয়টি সমাধান না হলে এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, খন্দকার বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পেয়েছি। মাদ্রাসা বাজার যেহেতু বালাগঞ্জ উপজেলার আওতায় সে জন্য বিষয়টি সমাধানের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।