
সদ্য ভার্সিটি পাশ করা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে অর্পিতা। সাজিদ তার প্রেমিক। সে পড়াশোনা শেষ করে ইউরোপে কর্মরত। মোবাইলে দু’জনের কথা হয় নিয়মিত। ছোট্ট এক অভিমানে দু’জনের কথা বন্ধ হয়ে গেলে অসস্তিতে ভোগে অর্পিতা। সাজিদ কল না দিলে সেও দেবে না। এরমধ্যে একদিন অর্পিতা সাজিদের নম্বরের সাথে মিল রেখে একটি নম্বরে কল দেয়। অপর পাশ থেকে কল রিসিভ করে কথা বলে এক সহজ সরল রং মিস্ত্রী। অর্পিতা তার কথায় মুগ্ধ হয়। এই মুগ্ধতাই অর্পিতাকে প্রতিদিন কল দিতে বাধ্য করে রং মিস্ত্রীকে। ধীরে ধীরে অর্পিতার সাথে রং মিস্ত্রীর কথা বাড়তে থাকে। রং মিস্ত্রী অর্পিতার প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। গ্রামের কাশফুল, নদীর ঢেউ এসব নিয়ে গল্প করে সে। অর্পিতা শুধু মুগ্ধ হয়ে শোনে। রং মাস্টার ভালোবাসতে শেখে। সে তার সহজ সরল স্বীকারোক্তিতে সেই কথা অর্পিতাকে জানায়। অর্পিতা একটি অদৃশ্য দেয়াল অনুভব করে। অর্পিতা একটি মেসেজ লিখে পাঠায় রং মিস্ত্রীকে। জানায় সে অপারগ। রং মিস্ত্রী লিখতে না পারার জন্য কোনো প্রতি উত্তর দিতে পারে না। তবুও সে চায় অর্পিতার মঙ্গল হোক, সে ভালো থাকুক।
হঠাৎ সাজিদ দেশে ফেরে। অর্পিতাকে সারপ্রাইজ দেয় সে। অর্পিতা খুশি হয়। তারা বিয়ে করে। অন্যদিকে রং মাস্টার তার স্বপ্নীল প্রেমের সমাপ্তি টেনে একা নীরবে কষ্টে বুক বাঁধে।