সিলেটপোস্ট রিপোর্ট:সিলেটের ওসমানীনগরে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি ও ভুয়া ডাক্তারদের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এ উপজেলায় সরকারি কোন হাসপাতাল ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান না থাকায় বর্তমানে ভূয়া এমবিবিএস নামধারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গঁজিয়ে ওঠা ফার্মেসিগুলেতে।জানা গেছে, ২০১১ সালের শেষের দিকে র্যাব-৯ উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারে অভিযান চালিয়ে ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রিধারী এস এম সেলিমসহ দুই প্রতারককে আটকের পর বেশ কিছু দিন উপজেলায় ভুয়া ডাক্তাররা আত্মগোপনে চলে যায়। স¤প্রতি আবারও এসএম সেলিমসহ একাধিক ভুয়া ডাক্তার এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতার প্রশ্রয়ে গোয়ালাবাজারস্থ হাজি মার্কেটের শাহজালাল মেডিকেল সেন্টারে মেডিসিনের অভিজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে চটকদার সাইনবোর্ড টানিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে একই কায়দায় দালালদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে সেবার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে একাধিক ভুয়া ডাক্তার। অভিযোগ উঠেছে, সিলেটের সিভিল সার্জন, বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসন এ উপজেলায় কখনও কোন অভিযান পরিচালনা না করায় লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি ও ভুয়া ডাক্তারদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। আরো জানাযায়, উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠন থাকলেও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম না থাকায় অনেক কর্মকর্তা এখানে আসতে নারাজ। আর চাকুরীর তাগিদে আসলেও কয়েকদিন থেকে তারা অন্যস্থানে চলে যান।অনুসন্ধানে জানাগেছে, লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দেরার বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত নানা ধরনের বিদেশি ওষুধ। তাছাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রির ও অভিযোগ রয়েছে এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভুয়া ডাক্তাররা এলাকায় নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তাদের কাছে গিয়ে অপচিকিত্সার শিকার রোগীদের কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও ডাক্তাররা তাদের গড়া সিন্ডিকেট দলের সদস্যদের দিয়ে প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানি করা হয়। অন্যদিকে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হলে প্রতারকদের দালালদের নিয়ে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপস করে থাকে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, এ উপজেলায় এখন কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদায়ন হয়নি। ফলে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি ও ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে।