সিলেটপোস্ট রিপোর্ট:সিলেটের রাজন হত্যা মামলাসহ আলোচিত চার মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরি হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ছাপাখানা থেকে পেপারবুকগুলো ইতিমধ্যে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছেছে।আলোচিত ওই চার মামলাগুলো হলো: সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলা, খুলনার শিশু রাকিব হাওলাদার, ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান দম্পতি এবং ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলা।হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ (প্রশাসন ও বিচার) বলেন, প্রক্রিয়া শেষে অবকাশের পর মামলাগুলো প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। প্রধান বিচারপতি যদি এসব মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন, তাহলে তা হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে যাবে ও শুনানি হবে।
নিম্ন আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এটি ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা হিসেবে পরিচিত। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করার সুযোগ পান। ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুকে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও নিম্ন আদালতের রায় পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ থাকে।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় গত বছরের ৮ জুলাই। ওই হত্যা মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর সিলেটের একটি আদালত রায় দেন। তাতে প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন, পাঁচ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রায়সহ এ মামলার নথিপত্র গত বছরের ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে পৌঁছায় এবং ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।