সিলেটপোস্ট রিপোর্ট:কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে ‘ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড’ (জিএফ)-এ যোগদানের পর গত চারদিন মন্ট্রিলে কর্মব্যস্ত দিন অতিবাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডার স্থানীয় সময় ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে মন্ট্রিল ত্যাগ করেন তিনি।
মন্ট্রিল সম্মেলনে বাংলাদেশের বড় অর্জনগুলোর মধ্যে একটি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নারীদের অগ্রগতি চিত্র উপস্থাপন। সেজন্য কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ শেখ হাসিনাকে ‘নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ’ বলে আখ্যায়িত করেন।
এ ছাড়াও এই সফরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য পিয়ারে ট্রুডোর মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পদক তুলে দেয়া হয় তাঁর পুত্র জাস্টিন ট্রুডোর হাতে।
তবে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বঘোষিত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরতের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা।
সফরের শেষ অংশে স্থানীয় সেন্টার মন্ট রয়েলে বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কানাডা শাখার দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেন- কিভাবে একটি সভ্য দেশ অভিযুক্ত এবং স্বঘোষিত খুনিকে আশ্রয় দিতে পারে?
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেবেন এবং বাংলায় ভাষণ দিবেন, একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করবেন।