সিলেটপোস্ট রিপোর্ট:সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিলো। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেলা দেড়টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে দুপুরে বিক্ষুব্ধ লোকজন বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভাংচুর করে। উত্তেজিত লোকজন সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের ওপরও চড়াও হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সময় টেলিভিশনের ব্যুরো চিফ ও সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির সিলেটের সকালকে জানান, পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। দুই ঘন্টা পর যান চলাচল শুরু হয়েছে। উত্তেজিত জনতা সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুজাত আলী রফিকের ওপরও চড়াও হয় বলে তিনি জানান।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর মধ্যস্থতায় দুপক্ষকে সমঝোতায় আনা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে লোকজন ব্রীজ অতিক্রম করে পূর্ব প্রান্তের লোকজনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বিশ্বনাথ থানার পুলিশ গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এরপর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদসহ অন্যরা সেখানে গেলে লোকজন চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তার দিকে তেড়ে আসে।
লামাকাজিতে দুই উপজেলার লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা-ছবি আমির হোসেন সাগর
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা উত্তপ্ত ছিল। যান চলাচল বন্ধ থাকায় এ সড়কে চলাচলকারী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েন। তবে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি লামাকাজিতে সদর উপজেলার হাউসা গ্রামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ফার্মেসীর সামনে বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির গাড়ি পার্র্কিং নিয়ে বচসা হয়। এর জের ধরে সোমবার সকাল থেকে লামাকাজী ব্রীজের পূর্ব প্রান্তে সিলেট সদর উপজেলার কয়েকটি এবং পশ্চিম প্রান্তে বিশ্বনাথ উপজেলার লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।