সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::ছাতকের ওমান প্রবাসীর স্ত্রীকে তার কথিত প্রেমিকসহ আটক করেছে ছাতক থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নিখোঁজ হওয়ার ১৮ দিন পর রাজধানী ঢাকার পল্লবী আবাসিক এলাকা থেকে আটকের পর প্রেমিক যুগলকে বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ছাতক থানায় নিয়ে আসা হয়।
আটককৃত প্রেমিক জুয়েল মিয়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র।
নিখোঁজ রুবেনা বেগম উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হাদনালী গ্রামের ওমান প্রবাসী সুমন মিয়ার স্ত্রী। মাত্র দেড় মাস বয়সের দুধের শিশু আমিনাকে বিছানায় ফেলে কথিত প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রায় এক বছর পূর্বে ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হাদনালী গ্রামের গোলাম সবুরের পুত্র ওমান প্রবাসী সুমন মিয়ার সাথে গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দেরগাঁও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের হারিছ আলীর কন্যা রুবেনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পর সুমন মিয়া প্রবাসে নিজ কর্মস্থল ওমানে ফিরে যান। গত ১২ জানুয়ারি ভোরে দেড় মাসের শিশু কন্যা আমিনা বেগম বিছানায় রেখে নিষ্ঠুর মা রুবেনা বেগম তার কথিত প্রেমিকার সাথে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রুবেনার চাচা আব্দুল মতলিব পরদিন ১৩ জানুয়ারি ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ডায়রির সূত্র ধরেই রুবেনার স্বামী সুমনের ভাগিনা সানাজুল মিয়াকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত সোমবার রাতে ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) ও এসআই তরিকুল ইসলাম ঢাকার পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিকসহ রুবেনাকে আটক করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ছাতকে নিয়ে আসেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়- রুবেনার বিয়ের পর পূবেই প্রেমিক জুমেলের সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর রুবেনার স্বামী সুমনের সাথে নানা বিষয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রুবেনা পুরনো প্রেমিক জুমেলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকার একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরির শ্রমিক প্রেমিক জুমেল ছাতকের জাউয়াবাজার থেকে প্রেমিকা রুবেনাকে নিয়ে রাজধানী ঢাকার পল্লবীর দোয়ারীপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে।
ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম জানান- রুবেনার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জুমেল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোনে দু’জন আলোচনা করে অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। প্রেমিক যুগলদের পরিবারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।