সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৭সদস্য। এ সময় ডাকাতদের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র রাম দা, কিরিচ, চাকু ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ-জনতা ধাওয়া করে চাতলপাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে-দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের পশ্চিম বর্ণি গ্রামের আব্দুন নুর এর পুত্র জফির (১৯), হাসন আলীর পুত্র আজাদ মিয়া (২০), মৃত আপ্তাব আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (৩৫) ও বর্ণি কান্দিবাড়ির ইছাক আলীর পুত্র মইবুর (২৫), কালা মিয়ার পুত্র সেলিম (২৩), সফাত আলীর পুত্র হুশিয়ার আলী (২৬) ও মৃত আহাদ আলীর পুত্র হুছন আহমদ (২৫)।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তেলিখাল পাম্পের পাশে সড়কে একটি ইঞ্জিন নৌকা নোঙর করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ডাকাত। বিষয়টি রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সার চালক ও যাত্রীগণ টের পেয়ে গাড়ি থামিয়ে ‘ডাকাত’ ‘ডাকাত’ বলে শোর চিৎকার শুরু করেন। এ সময় গৌখালেরপাড়ের কাছাব আলী, মাহমদ আলী, আব্দুল হক, জুয়েল এবং চাতলপাড়ের নুরুল ই
সলাম, মুর্শেদ জামান মেম্বার, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, নছর আহমদ, দেলোয়ার, মিন্নত আলী, আব্দুছ ছোবহান, বাচ্চু মিয়া ও আমির উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন দু’টি ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করেন।
খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ডাকাতদের পিছু নেয়। পরে রাত ১১টার দিকে চাতলপাড় গ্রাম থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে উত্তেজিত জনতা ডাকাতদের গণপিটুনি দেয়। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেয়া হয়।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংঘবদ্ধ এই ডাকাতদল দীর্ঘদিন ধরে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে যাত্রীবাহি যানবাহনসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গৌখালেরপাড়ের কাছাব আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। আটকদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের গাড়িতে হামলা মামলাসহ একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।