সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ পর্যায়ের গাড়ি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ছাড়া অন্যান্য সময়ে কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কাউকে ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির উপ-সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি সকল জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়। অবগতির জন্য চিঠির অনুলিপি সকল বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কমিশন সচিবের দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তদন্ত, ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন এবং বিভিন্ন নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনাসহ দাপ্তরিক প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই মাঠ পর্যায়ে ভ্রমণ করতে হয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের জীপ গাড়ি হুকুম দখল করা হলে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ এবং ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নির্বাচনের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।’
এমতাবস্থায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর গাড়িগুলো মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর ব্যতীত অধিগ্রহন/হুকুম দখলের আওতা বহির্ভূত রাখার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।’
ইসি সূত্র জানায়, কমিশনের গাড়ি অনেক সময় অনেকেই (যারা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা নন) ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করেন বা কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গেলে সেখানেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার ফলে যেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার জন্য গাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই কাজের সময় গাড়িটি পান না। ফলে সঠিকভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির একজন কর্মকর্তা জানায়, এমন অনেকেই আছেন যাদের নিজেদের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে কমিশনেরর গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। তারা হয়তো কমিশনের গাড়ি সরকারি মনে করেন। আর তাদের বিলাসিতার জন্য কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে থাকে। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কমিশনের বর্তমানে নেওয়া সিদ্ধান্তটি আরো আগে নেওয়া উচিত ছিল।