সিলেটপোস্ট রিপোর্ট ::যুক্তরাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন ব্রেক্সিট পরবর্তী অবস্থা কাটিয়ে উঠতে, দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা দিতে এবং তার হাত শক্ত করতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন থেরেসা মে। আগামী ৮ জুন নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন করে বিবিসিকে মে জানান সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে তিনি এ ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত পাল্টিয়েছেন।
নতুন ভোট তার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং তার ‘হাত শক্ত করবে’ বলে মনে করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। শীঘ্রই দেশটির হাউজ অব কমনস্ এর এমপিরা তার সে সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেবে।
গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে একটি প্রেস কনফারেন্সে হঠাৎ করে আগাম নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার এ ঘোষণাকে রসগোল্লাগর মতো লুফে নিয়েছে বিরোধীদলগুলো, বিশেষ করে প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টি। আগাম নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে তার স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনে জয়ের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেছে।
অবাক করা বিষয় হলো, ডাকঢোল না পিটিয়েই থেরেসা মের নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা। আগে থেকে এ নিয়ে কোনো সাড়াশব্দ নেই। বরং আগাম নির্বাচন দেওয়ার প্রসঙ্গ এলেই তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোটের রায় আসার পর ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন এবং ক্ষমতা পান থেরেসা মে। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, আগাম নির্বাচন আয়োজন করবেন না তিনি। এরপরও তিনি ও তার মন্ত্রিসভার বারবার বলেছে, নির্ধারিত সময়সূচি ২০২০ সালের আগে কোনো আগাম নির্বাচন হবে না। কিন্তু হঠাৎ ইউ-টার্ন নিলেন থেরেসা মে।
আগাম নির্বাচনের তথ্য গোপন রাখায় হতবাক হয়েছেন যুক্তরাজ্যবাসী। তবে এ তথ্য অবগত ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ইস্টার মানডেতে রানির সঙ্গে কথা বলেন।