সংবাদ শিরোনাম
ওসমানীনগরে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে! এমপি মোকাব্বিরের হুশিয়ারী  » «   দক্ষিণ সুরমায় জুয়ার স্পটে পুলিশি অভিযান  » «   জৈন্তাপুর-কে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্তকরণ ঘোষনা উপলক্ষে প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত  » «   কর কর্তনের বিধি বিধান প্রতিপালনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে ওয়াকিং সেমিনার অনুষ্ঠিত  » «   ওসমানীনগরের বুড়ি নদীর চরে ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলা  » «   দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি’তে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের কল্যাণে এগিয়ে এসেছে-প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী  » «   দক্ষিণ সুরমায় যৌতুক মামলায় প্রবাসী গ্রেপ্তার  » «   সুনামগঞ্জে সিলেটগামি ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত ৩  » «   ওসমানীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২  » «   নিউজার্সি প্যাটারসন সন্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশি নারী ডাক্তার রেহানা রব  » «   জৈন্তাপুরে নিখোঁজ হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে মাদ্রাসা ছাত্র-কে উদ্বার করতে সক্ষম হয়েছে  » «   দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধে মামাতো ভাইয়ের হাতে ফুফাতো ভাই খুন  আটক ৫  » «   ওসমানীনগরে শিক্ষর্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা গ্রেফতার নেই ৩ দিনে  » «   ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জের ফুলতলী বাজারে বাস ও মটরসাইকেলের মূখমোখি সংঘর্ষে নিহত-১  » «   ওসমানীনগরে স্কুল শিক্ষর্থীর মৃত্যুর ঘটনায় কতিত প্রেমিক আটক  » «  

মৃতের সঙ্গে যেখানে জীবিতের বাস!

20সিলেটপোস্ট রিপোর্ট ::পৃথিবীর অনেক সংস্কৃতি বা ধর্মেই মৃত্যুকে মনে করা হয় শুধুমাত্র শারীরিক বিনাশ। যা এই জগতের শেষ, আর অন্য আরেক জগতের শুরু। তবে ইন্দোনেশিয়ার একটি অঞ্চলে বিষয়টি একটু আলাদা। সেখানে একজনের মৃত্যু হলেও, তার শেষকৃত্য হতে অনেক সময় লেগে যায়। মৃতদের নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা ধরণের। একটি ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে বসার রুমে পরিবারের সদস্যরা বসে কফি খাচ্ছেন।

সবাই খুব হাসিখুশি, আর এরই পাশের কক্ষের বিছানায় একজন শুয়ে আছেন। তিনি কোন নড়াচড়া করছেননা। তার ধুসর বর্ণের মুখে ছোট ছোট অনেক দাগ, যেন পোকা মাকড় কামড় দিয়েছে।

শরীরে অনেক কাপড় পেঁচানো। বাড়ির ছোট মেয়ে মামাক লিসা বলছিলেন, ” তার সম্পর্কে হৃদয়ের খুব সম্পর্ক আছে। আমাদের সেই সম্পর্ক এখনো আছে”। অথচ এই ব্যক্তি মারা গেছেন ১২ বছর আগে। যদিও তার পরিবার মনে করে তিনি এখনো জীবিত কিন্তু একটু অসুস্থ। এই মৃত ব্যক্তি তার পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রারই একটি অংশ।

ইন্দোনেশিয়ার তোরাজন এলাকার পুরনো প্রথার এটিও একটি, যেখানে মৃতরা জীবিতদের সাথেই বসবাস করে। কেউ মারা যাওয়ার অনেক মাস পর. অনেক বছর পর শেষকৃত্য হয়। এ মধ্যবর্তী সময়ে নানা হারবাল ও রাসায়নিক দিয়ে মৃতদেহ সংরক্ষণ করে পরিবারের সঙ্গেই রাখা হয়। তাকে দিনে দুবার খাবার দেয়া হয়, এমনটি টয়লেটের জন্যও রুমে এক কোণে একটি পাত্র রাখা হয়।

তার কন্যা বলছিলেন, “এটা আমার দু:খবোধ কাটাতে অনেক সাহায্য করছে। আমার বাবা যে মারা গেছেন সে কষ্টের সাথে অভ্যস্ত হতে আমি সময় পাচ্ছি”।

যখন চূড়ান্ত ভাবে মৃতদের বিদায় জানানো হয় তখন অনুষ্ঠান হয় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ। আত্মীয়স্বজনরা আসেন। অনেক টাকা পয়সাও খরচ করা হয়। আবার এ শেষকৃত্য কিন্তু চূড়ান্ত বিচ্ছেদ নয়। কয়েক বছর পর পর নানা উপলক্ষে কফিন খুলে মৃতদেহ বের করা হয়। বন্ধু আর আত্মীয়রা তাকে নানা খাবার দেন, পরিষ্কার করে একত্রে তার সাথে ছবিও তুলেন।

সমাজবিজ্ঞানী আন্দি তান্দি লোলো, “সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে এটি জীবিত ও মৃতদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার মতো ব্যাপার”। তিন বছর আগে নিহত এক ব্যক্তির পুত্রবধূ বলছেন, যখন তাকে দেখতে পাই তখন মনে হয় তিনি আমাদের কত ভালোবাসতেন। তবে এ প্রাচীন প্রথাটি এখন ক্রমশ বিলুপ্তির পথে। সূত্র : বিবিসি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.