সিলেটপোস্ট রিপোর্ট ::প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, বিএনপি যতই হাম্বি-তাম্বি আর হুমকি-ধামকি দিক না কেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করতেই হবে। কারণ নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। ফলে তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
তিনি শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।
হাই কোর্টের সামনে ‘গ্রীক’ মূর্তি সম্পর্কে এরশাদ বলেন, এই মূর্তি ইসলামী মূল্যবোধকে আঘাত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন হাই কোর্টে ওই মূর্তি থাকা ঠিক না। এর আগে সেখানে দাঁড়িপাল্লা মূর্তি ছিলো। কিন্তু কি কারণে সেখানে গ্রীক মূর্তি স্থাপন করা হলো তা আমার বোধগম্য হয়নি।
তিনি বলেন, আমিও মনে করি ওই মূর্তি সরিয়ে ফেলা হবে। মূর্তি না সরালে ইসলামী দলগুলো তো আন্দোলন করবেই। এখানে অন্যায় কিছু তিনি দেখছেন না বলে জানান জাপা চেয়ারম্যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর এবং ভারতের সাথে সামরিক চুক্তি-সহ বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এরশাদ বলেন, তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃঢভাবে ঘোষণা করেছেন তাদের দুজনের ক্ষমতায় থাকাকালিন তিস্তা চুক্তি করা হবে। সে কারণে আমি নিজেও মোদীর আশ্বাসকে বিশ্বাস করতে চাই। তবে সামরিক চুক্তিতে কি কি বিষয় উল্লেখ করা আছে তা না জেনে কোন মন্তব্য করা আমার ঠিক হবে না।
রংপুর জাপা নেতা আব্দুর রউফ মানিক রংপুর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে এরশাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি তার পাশে বসা মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে দেখিয়ে বলেন, আমি অনেক আগেই তাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি, এর কোন পরিবর্তন হবেনা। তাছাড়া আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। ফলে তার প্রার্থীই মেয়র নির্বাচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে সরাসরি রংপুর নগরীর পল্লী নিবাস বাসায় এসে পৌঁছলে দলের নেতাকর্মীরা এরশাদকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এ সময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার, মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।