সিলেটপোস্ট রিপোর্ট ::নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘শিগগিরই ডাক আসবে। গণতান্ত্রিক লড়াই আন্দোলনে অংশ নিতে আপনারা প্রস্তুতি নিন। প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণকে সম্পৃক্ত করে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে।’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (সাগর-রুনি) মিলনায়তনে রোববার দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলার সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র ব্যতীত অন্য কোনা নীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালো জেনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। কিন্তু বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগ অপকৌশল হিসেবে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসাটা অভ্যাসে পরিণত করেছে।’
‘এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছে না। একটি কথা খুব স্পষ্ট- এ অপকৌশলে জনরায়কে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা গণতান্ত্রিক সমাজে বেমানান। এর পরিণতি নিশ্চিহ্ন হওয়া’ হুঁশিয়ার করেন বিএনপির এ নেতা।
নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, এ সরকারের বিদায় চায়। শুধু তাই নয়, তারা (জনগণ) আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প হিসেবে বিএনপিকে মনে করছে। তাই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন দিতে চায় না। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা ভালো করেই জানে অতীতে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে রক্ষী বাহিনী দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করায় ক্ষমতায় যেতে তাদের ২১ বছর লেগেছে। এবার জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে আবার কখন কবে ক্ষমতায় যাবে তার হিসাব নাই।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যা যা করার প্রয়োজন আওয়ামী লীগ সেই অগণতান্ত্রিক কাজ আরো করে যাবে।’
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্যে দেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক প্রমুখ।