সিলেটপোস্ট রিপোর্ট ::তিন তালাক প্রথার ‘শিকার’ জাতীয় নেটবল খেলোয়াড় শুমায়লা জাভেদ৷ কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় তাকে তিন তালাক দিয়েছেন স্বামী, অভিযোগ শুমায়লার৷ উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার কোতোয়ালি এলাকার ঘটনা, খবর সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের৷
বিবাহবিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এই জাতীয় খেলোয়াড়৷ তার অভিযোগ, কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া মেনে নিতে পারেননি স্বামী, তিনবার তালাক উচ্চারণ করে তাকে বিচ্ছেদ দেন৷ শ্বশুরবাড়িতেও তার উপর অকথ্য অত্যাচার করা হত বলে জানিয়েছেন শুমায়লা৷
জেলাস্তর থেকে জাতীয় স্তরে একাধিকবার নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এই নেটবল খেলোয়াড়৷ ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তার বিয়ে হয়৷ শুমায়লা গর্ভবতী হওয়ার পরই তার স্বামী তাদের আসন্ন সন্তানের লিঙ্গ জানতে মেডিকেল পরীক্ষা করান৷ দেখা যায়, শুমায়লার গর্ভে কন্যাসন্তান আসন্ন৷ তখনই শুমায়লাকে তার বাবার কাছে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
২০১৫ সালের ১৫ মে মোরাদাবাদের জেলা হাসপাতালে কন্যার জন্ম দেন শুমায়লা৷ তখন থেকেই তার স্বামী ফারুখ আলি তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত বলে অভিযোগ করেছেন শুমায়লা৷ ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি টেলিফোনে শুমায়লাকে তালাক দেন ফারুখ৷ শুমায়লা এখন তার বাবার কাছে থাকেন৷ এখন বিচার পেতে শুমায়লা যোগী আদিত্যনাথের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ তিনি জানতে পেরেছেন, তিন তালাকের মতো প্রথার অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার৷ সরকারের কাছে শুমায়লার আবেদন, তার মতো খেলোয়াড়ের মনঃসংযোগ নষ্ট হচ্ছে এই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে পড়ে৷ সরকার যেন এর সুরাহা করে৷
কয়কেদিন আগেই তিন তালাক ইস্যুতে সমাজের বিশিষ্টজনদের একাংশের নীরবতা তাকে চমকে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ চন্দ্রশেখরের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘চন্দ্রশেখরও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে ছিলেন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের উপর একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে এসে লখনউতে তিনি বলেছিলেন, ‘যারা তিন তালাকের মতো প্রথার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না, তারাও সমান দোষী।’
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন