সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে সোমবার আদালতে হাজির করা হচ্ছে। আসামিরা হলেন- দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ। এর আগে আদালতের নির্দেশে রোববার জেলহাজত থেকে তাদের শুল্ক গোয়েন্দা সদরদফতরে এনে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, রোববার সারাদিন তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, মো. জাকির হোসেন ও শিপু সরকার।
জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা সোনা চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এগুলো তদন্ত ও বিচারিক কাজে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা।
এর আগে গত ২ নভেম্বর সিএমএম আদালত শুল্ক গোয়েন্দার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রয়োজনে তাদের আরও রিমান্ড আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।
গত ৪ জুন চোরাচালানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়।
অনুসন্ধান শেষে গুলশান থানায় ২টি, রমনা থানায় ১টি, উত্তরা থানায় ১টি ও ধানমন্ডি থানায় ১টি মানিলন্ডারিং মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
শুল্ক গোয়েন্দার অনুরোধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুদক পৃথকভাবে অনুসন্ধান করছে। ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর ফাঁকি হওয়ায় আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে আরও তিনটি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।