সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::সুনামগঞ্জ জেলা জজ আদালতের হিসাব শাখা থেকে বিবিধ(অগ্রক্রয়) মামলার প্রায় ১৮ লাখ টাকা জালিয়াতির মধ্যেমে হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে দুই আইনজীবীর সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই দুই আইনজীবীর সদস্য পদ কেন স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে মর্মে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সদস্য পদ স্থগিত হওয়া দুই আইনজীবী হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. মাজহারুল ইসলাম, রেজাউল করিম।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শায়েখ আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় এ সিন্ধান্ত নেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার দেব, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামছুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রবিউল লেইছ রোকেস, অ্যাডভোকেট কাওছার আলম, অ্যাডভোকেট বজলুর রশীদ প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শায়েখ আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পরিবর্তন ডটকমকে জানান, অভিযুক্ত দুই আইনজীবীর সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করে কেন স্থায়ীভাবে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জালিয়াতির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা জজ আদালতের হিসাব শাখা থেকে বিবিধ(অগ্রক্রয়) মামলার প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত এলাকা থেকে অ্যাডভোকেট মো. মাজহারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম, সহকারি জজ আদালত(জামালগঞ্জ)-এর সেরেস্তাদার ঘেনু চন্দ্র রায়কে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল আলম ঝিনুক-এর নির্দেশে পুলিশ আদালত এলাকা থেকে আটক করে। একই ঘটনায় ওই দিনগত রাতে ফেনী থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত জারিকারক আব্দুস সোবহানকেও আটক করে পুলিশ।
পরদিন সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের নায়েব নাজির শিফাত শাহরিয়ার সদর মডেল থানায় অ্যাডভোকেট মো. মাজহারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করি, সহকারি জজ আদালত(জামালগঞ্জ)-এর সেরেস্তাদার ঘেনু চন্দ্র রায় ও জেলা ও দায়ারা জজ আদালতের অবরসপ্রাপ্ত জারিকার আব্দুস সোবহানকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
পরে দুই আইনজীবীসহ ৪ জনকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।