সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::কিছুটা হলেও স্বস্তি হয়তো পেলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালী, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, শাহিদ কাপুররা। ছবির মুক্তির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিলো, এ বিষয়ে কোনও মতামতই দেবে না শীর্ষ আদালত।
সঞ্জয়ের ছবিতে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। রাজপুত রানিকে অপমান করা হয়েছে। এই অভিযোগেই ছবির মুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল দেশটির শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আদালত নেবে না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেন্ট্রাল ফিল্ম অফ বোর্ড সার্টিফিকেশন নেবে। সিবিএফসি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংগঠন। এর কাজে সর্বোচ্চ আদালতও হস্তক্ষেপ করবে না।
অনেকে মনে করছেন, এখানেই নতুন বিপদ অপেক্ষা করছে সঞ্জয় লীলা বানশালীর পদ্মাবতীর জন্য। কারণ শোনা গেছে, ছবিটিকে এখনও সেন্সরের ছাড়পত্রের জন্য পাঠানোই হয়নি। এদিকে ইতিমধ্যেই ছবির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি লিখেছেন সিবিএফসি’র এক সদস্য।
অর্জুন গুপ্তা নামের ওই সদস্য চিঠিতে জানিয়েছেন, এই ছবির মাধ্যমে রানি পদ্মাবর্তীর চরিত্রকে কলঙ্কিত করেছেন সঞ্জয় লীলা বানশালী। এর বিরুদ্ধে কেবল রাজপুত সংগঠনই নয় সারা দেশ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সে কারণে তিনি চান সঞ্জয়ের মতো পরিচালকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হোক। তাহলে এই ধরনের ছবি করা তিনি বন্ধ করবেন।
এদিকে, ছবির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপি সংসদ সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, দুবাইয়ের মানুষরা চান মুসলিম রাজাদের গৌরবান্বিত করে দেখানো হোক। সেই ট্রেন্ড বেশ কয়েকদিন ধরেই শুরু হয়েছে। ‘জোধা আকবর’ ছবির সময়ও তাই দেখানো হয়েছিল। এ ছবি তৈরির জন্য টাকা কোথা থেকে আসছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এর জন্য ইডির তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ভিডিও লিংক…
কিছু দিন আগেই সঞ্জয় একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কোনও চেষ্টা তার ছবিতে করা হয়নি। আলাউদ্দিন খিলজি ও রানি পদ্মাবতীর মধ্যে কোনও প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়নি। স্বপ্নের মাধ্যমেও নয়।
ভারতের সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, পরিচালকের এ দাবি মানতে বরাবরই মানতে নারাজ কর্ণি সেনা। তারা ছবির সেটে ভাঙচুর করেছেনই, দীপিকার পোস্টারও পোড়ানো হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে রাজপুতানা সংগঠন, ব্রাহ্মণ মহাসভা ও একাধিক বিজেপি বিধায়ক ও সংসদ সদস্যও। এমন অবস্থায় ছবি পয়লা ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া এখন প্রসূন জোশীর সেন্সরের হাতেই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।