সংবাদ শিরোনাম
জৈন্তাপুর সীমান্ত: চোরাচালানের অভয়ারণ্যে,  আসছে গরু,মহিষ, মাদকদ্রব্য:শীর্ষে নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়ন  » «   মানুষ আজকে শেখ হাসিনাকে এক মিনিটের জন্য ক্ষমতায় দেখতে চায় না-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  » «   দেশের সাধারণ মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন চায় : কাইয়ুম চৌধুরী  » «   যুক্তরাজ্যে মসজিদের না‌মে ওয়ার্ক পার‌মিটের কথা ব‌লে অন্তত ১৭ জ‌নের কাছ থে‌কে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার অ‌ভি‌যোগ  » «   জৈন্তাপুরে ভারতীয় ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ঔষধ জব্ধ সহ ২ জন গ্রেফতার  » «   সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সালুটিক এলাকায় সড়ল দুর্ঘটনায় নিহত ২  » «   বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য হলেন মেয়র আরিফ  » «   জৈন্তাপুরে স্বামী-কে হত্যা চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী মনিরা বেগম সহ যুবক গ্রেফতার  » «   জৈন্তাপুর সীমান্তে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ১৫ টি মহিষ, ১৮টি গরু সহ ৩৭ বস্তা চিনি জব্ধ ও ৪ জন আটক  » «   জৈন্তাপুরে মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে প্রাইভেট গাড়ী সহ ভারতীয় ২৯৭ পিস মোবাইল সেট আটক  » «   সুনামগঞ্জে ঢাকাগামী আল-মোবারাকা পরিবহণের চাপায় এক নারী নিহত  » «   ওসমানী মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেনীর ২০জন কর্মচারীকে বিদায় সংবর্ধনা  » «   সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাথে ইবনে সিনা হাসপাতাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   » «   ওসমানীনগরে মহাসড়কে ঝরল মা-সন্তানের প্রান  » «   ওসমানীনগরে ধর্ষিতা কিশোরীর সন্তান প্রসব, ৪ মাসেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক!  » «  

তেলের ড্রামে ভেসে আসছে রোহিঙ্গারা

16সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ক্রমশ আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। যেকোনো উপায়ে সেখান থেকে জীবন নিয়ে পালানোর সুযোগ খুঁজছেন রোহিঙ্গারা। জীবন বাঁচাতে মরিয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে।

অনেক রোহিঙ্গা সাঁতার কেটে বাংলাদেশে আসছে। যারা সাঁতার জানে না তারা শরীরের সাথে তেলের ড্রাম বেঁধে নিয়ে ভেসে পড়ছেন পানিতে।

গত এক সপ্তাহে কয়েক ডজন রোহিঙ্গা শিশু ও যুবক হলুদ রঙ্গের তেলের ড্রামে ভেসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসেন।

তেলের ড্রামে ভেসে আসা শিশুদের একজন হচ্ছে নবী হোসেন (১৩)। সে আগে কখনও সমুদ্র দেখেনি। সাঁতারও জানত না।
নভেম্বরের ৪ তারিখে সে তেলের ড্রামে চেপে নাফ নদী পাড়ি দেয়। প্রায় আড়াই মাইল পানি সাঁতরে কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপে এসে নামে। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পরও তাকে হলুদ ড্রামটি আঁকড়ে ধরে থাকতে দেখা যায়।

নবী বলে, ‘আমার শুধু ভয় হচ্ছিল যে বোধহয় মরে যাব। মনে হচ্ছিল আজকেই বুঝি জীবনের শেষ দিন।’
তেলের ড্রামে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আরেকজনের নাম কামাল হুসেইন (১৮)। তিনি বলেন, ‘ওইখানে অনেকরকম যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছিল। সে কারনে, ডুবে মরাও ওখানে থাকার চেয়ে ভাল মনে করি।’

বহুবছর ধরে মিয়ানমারের অধিবাসী হলেও মিয়ানমারের বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী বলে মনে করে। সেখানকার সরকারও তাদেরকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করছে।

এবছরের আগস্ট মিয়ানমারের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী ও সেখানকার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা শুরু করে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.