সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইরের রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে সতর্ক করে দিয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে, যা এ অঞ্চলে শান্তি বিনষ্ট করবে।
সোমবার তুরস্কের সম্প্রচার মাধ্যম টিআরটিতে এক সাক্ষাত্কারে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি
তিনি বলেন,‘সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সৃষ্ট উত্তেজনা একটি নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে যা এই অঞ্চল কখনোই সহ্য করতে পারে না।’
শেখ মোহাম্মদ আরও বলেন,‘এই অঞ্চলে চলমান নির্বুদ্ধিতামূলক আচরণ বন্ধ করার এবং আগ্রাসী রাজনৈতিক কার্যকলাপকে চ্যালেঞ্জ করার উদ্যোগের অভাব রয়েছে। কোন ধরণের সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের আগে নতুন সৃষ্ট এ সংকটকে থামাতে হবে।’
তিনি লেবাননের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন। কাতারের এ শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন। ‘আমরা লেবানন ইস্যুকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। তবে এর জন্য দুই দেশের মধ্যে দ্বন্ধ সৃষ্টি হোক আমরা চাই না। কারও উচিত হবে না লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো এবং সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা নিরসন করে ফেলা উচিত।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরি রিয়াদ সফরে গিয়ে হুট করে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়। তিনি এর জন্য ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহকে দায়ী করেন। তিনি দাবী করেন, জীবন নিয়ে তিনি শঙ্কিত। তবে ইরান ও শিয়া মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ দাবী করে, সৌদি আরবের চাপে হারিরি পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তাকে রিয়াদে বন্দী করে রাখা হয়েছে। যদিও সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করে। একইসাথে গতকাল হারিরি এক টিভি সাক্ষাৎকারে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি মুক্ত আছেন এবং শীঘ্রই লেবাননে গিয়ে সাংবিধানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিবেন।
এমন পরিস্থিতি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সৃষ্ট উত্তেজনা চরমে ওঠলে তার প্রতিক্রিয়া কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শেখ মোহাম্মদ এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন। সূত্র, দ্য নিউ আরব