সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::উপমহাদেশ কাঁপানো কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার প্রাপ্তির তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। গান গেয়ে শ্রোতাদের আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা পেয়েছেন। সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাকিস্তানের নিগার অ্যাওয়ার্ড, গিনেস রেকর্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেয়েছেন নানা সম্মাননা। অপূর্ণতা কী কিছু আছে তার! আছে কী কোন অপূর্ণ ইচ্ছে।
আজ ১৭ নভেম্বর তার জন্মদিন উপলক্ষে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রুনা জানান তার অপূর্ণ ইচ্ছের কথা। বোনের নামে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল গড়তে চান নন্দিত এই গায়িকা।
রুনা লায়লা বলেন, ‘মানুষের সেবা করতে ভালো লাগে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করেছি। সার্কের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বেও ছিলাম। ইচ্ছা আছে, একটি ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ার। আমার বোন দীনা লায়লা ক্যান্সারে মারা গেছেন। হাসপাতালটি যদি গড়তে পারি তাহলে তাতে তার নামই দেব।’
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর এমদাদ আলী ও আমিনা লায়লার ঘর আলো করে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। তারা দুই বোন এক ভাই (বোন- দীনা লায়লা, ভাই- সৈয়দ আলী মুরাদ)। স্বামী চিত্রনায়ক আলমগীর।
দর্শকের সামনে প্রথম গান করেন মাত্র ৬ বছর বয়সে। গান গেয়ে প্রথম পুরস্কার পান ৯ বছর বয়সে। প্রথম প্লেব্যাক করেন পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ‘জুগনু’তে সাড়ে ১১ বছর বয়সে। এখন পর্যন্ত গানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
বাংলা, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, বালুচ, ফারসি, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি কিংবা ইংরেজি, এমন অনেক ভাষার গান গেয়েছেন রুনা লায়লা। সুরকার নিসার বাজমির ১০টি করে তিন দিনে মোট ৩০টি গান রেকর্ডের পর রুনা লায়লা নাম লেখান গিনেস বুকে। ১৮টি ভাষায় গান গাওয়া, নিজের সংগীতজীবন নিয়ে নির্মিত ‘শিল্পী’ছবিতে অভিনয় করা- এসব মিলিয়ে রুনা লায়লা এখন এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম।