সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::সিলেট ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউপির ব্রাহ্মণ শাসন গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোরী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের টানে প্রেমিকের সাথে বিয়ে করার উদ্যোশে গত ১৫ই নভেম্বর বাড়ির সকলের অগোচরে পালিয়ে যায়।
প্রেমিকের কথা মতো উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তাজপুর কদমতলায় ঐ কিশোরী এসে তার প্রেমিককে না পেয়ে অভিযুক্ত সিএনজি চালক ছমির মিয়ার খপ্পরে পড়ে,ছমির মিয়া কিশোরীকে প্রেমিকের বাড়ি নিয়ে যাবার কথা বলে তার সিএনজি অটোরিকশা করে নিয়ে চকবাজারের আলমগীরের গ্যারেজে আটকে রাখে।
এ দিন রাতে এই কিশোরীকে চেতনানাশক ঔষধ জোরপূর্ব সেবন করিয়ে কিশোরীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ১৫ই নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ছমির মিয়া গ্যারেজে কিশোরীকে উপর্যোপরি ধর্ষণ করে। পরের দিন কিশোরীরর পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে চকবাজারের অটোরিকশা গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করে।
বিষয়টি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ছমির মিয়াকে আটক করে এবং নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দয়ামীর ইউপির চকবাজারে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দয়ামীর চকবাজারের আতাউল্লা গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক ছমির মিয়াকে গত শুক্রবার রাতে ওসমানীনগর থানা পুলিশ আটক করেছে।
এ ঘটনায় পাশবিকতার শিকার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে ছমির মিয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওসমানীনগর থানায় মামলা (নং-১২) দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই ফরিদ আহমদ ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকৃত ছমির পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশবিকতার শিকার কিশোরীর ম্যাজেষ্ট্রিটের নিকটর জবানবন্দী রেকর্ডের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।