সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ২০ মাস পূর্ণ হয়েছে সোমবার। এই দীর্ঘ সময়েও তনুর ঘাতকরা অধরাই রয়ে গেছে।
এদিকে বুধবার পুলিশের ঢাকা সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট) কার্যালয়ে তনুর বাবা-মাসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য তনুর বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তনুর মা আনোয়ারা বেগম পরিবর্তন ডটকমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিআইডি অফিস থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে আমি, আমার স্বামী, দুই ছেলে ও তনুর চাচাতো বোন লাইজুকে নিয়ে ঢাকায় সিআইডি অফিসে যেতে।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আর আমাদের কতো জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। আসামিদের আইনের আওতায় না এনে বারবার আমাদের জিজ্ঞসাবাদের নামে হয়রানি করা হচ্ছে।
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি আমি শুরুতে যাদেরকে ধরতে বলেছি, তাদের ধরলেই সব কিছু খোলাসা হয়ে যাবে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, তনু হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে। তবে চিঠির বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গল থেকে তনুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্ত করছেন কুমিল্লা সিআইডি। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ না করে প্রতিবেদন দেয়ায় ঘটনার রহস্য উদঘাটন নিয়ে শুরু থেকেই সংশয় দেখা দেয়। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট।
গত বছরের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জনের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।