সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় মেয়ের বান্ধবী অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভনে হোটেলে আটকে রেখে সেই ধর্ষণকারী এখন জেলহাজতে!
১৪ বছরের অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রী। নিজের আপন মেয়ের বান্ধবীকে গৃহপরিচারিকার কাজে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে পাসপোর্ট করাতে ঢাকায় নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে এক ব্যবসায়ীসহ অজ্ঞাতনামা আরেক ব্যক্তি একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
মা-হীন পরিবারে দিনমজুর পিতার ওই মেয়ে কে সম্প্রতি হাজিপুর ইউনিযের এক আদম ব্যবসায়ী বিদেশে পাঠানোর জন্য তার পিতা কে প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে মেয়েটির পিতা সম্মতি দিলে। পাসপোর্ট করানোর জন্য নিয়ে গিয়ে এমন নোংরা কাজে লিপ্ত হয়েছে পাষন্ড ওই ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর রাতে কুলাউড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আদম ব্যবসায়ী আকবর আলী (৫০) ও তাঁর স্ত্রী রাবিয়া বেগমকে (৪০) গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এবং নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মেয়েটির শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নেই।
এদিকে স্কুলছাত্রীর পিতা (৪৫) বাদী হয়ে আকবর আলী, আকবরের স্ত্রী রাবিয়া ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দক্ষিণ হাজীপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম মূসা জানান, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্কুলছাত্রীর প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর, চিকিৎসকেরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।
আটক পাষন্ড আকবর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজারের হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জড়িত অপর ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।