সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্রকরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামে ৩ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তার নাম মেহেরুন্নেছা (৪৫)। তিনি ঐ গ্রামের সাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় তার আরও ৩ শিশু সন্তান আহত হয়েছে। তারা হচ্ছে, মাছুমা আক্তার, তাসলিমা আক্তার ও আনিকা আক্তার। তাদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের স্বামী সাফিজুল ইসলাম বলেন, মেরেুন্নেছার সাথে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয় পাশের ঘরের আফজাল মিয়ার স্ত্রী সামিউন্নেছার। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সামিউন্নেছা উত্তেজিত হয়ে মেহেরুনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সামিউন্নেছার পক্ষ নিয়ে তার স্বামী আফজাল মিয়া ও রুবেল মিয়া আবারও মেহেরুন্নেছাকে একা পেয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, মুখ ও নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্তকরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে মেহেরুন্নেছার।
এদিকে, মাকে হারিয়ে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিহতের অবুঝ সন্তানদের কান্না কেউ থামাতে পারছে না। তারা বার বার মা-মা বলে মেহেরুন্নেছার দেহকে জড়িয়ে ধরছে। তাদের কান্নায় হাসপাতাল এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আতাউর রহমান জানান, ওই এলাকায় কোন ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। মেহেরুন্নেছা নামে যে মহিলা মারা গেছে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে।