সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::বিসিএস ক্যাডারভূক্ত শিক্ষকরা ক্লাস ছেড়ে নেমেছেন আন্দোলনের ময়দানে। এতে দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি চরম বিপাকে সিলেট বিভাগের ২৯টি সরকারি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
এই দুইদিন তাদের নিয়মিত ক্লাস যেমন হবেনা, তেমনি হবেনা অভ্যন্তরিন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত মোট ৪টি পরীক্ষা। আন্দোলনকারীরা বলছেন পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি তারা পুষিয়ে দিবেন। সোমবার শেষ হবে দুদিনের কর্মবিরতি।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, নতুন জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভূত রেখে ২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে স্বতন্ত্র বিধি তৈরি।
রোববার দুপুরে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজকে খাঁ খাঁ করতে দেখা গেছে। নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বা শিক্ষকদের কর্মচাঞ্চল্য। শিক্ষক কমনরুমে তাদের বসে থাকতে দেখা যায়।
দুপুরে কলেজ আঙ্গিনায় নিজেদের দাবি দাওয়া সংবলিত একটি ব্যানার নিয়ে তাদের কলেজের উঠনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তারা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপ করেন।
আন্দোলন প্রসঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ২০১০ সালের নতুন শিক্ষানীতির আলোকে স্বতন্ত্র বিধি তৈরি না করলে মারাত্মক সমস্যা হবে। আমরা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ক্যাডারভূক্ত হয়ে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছি, আর ওরা সাধরণ নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে আমাদের সম পর্যায়ে চলে আসছেন। এতে পদন্নতিসহ আরও নানা ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হবে। জটিলতা থেকে রক্ষা পেতে তাদের জন্য স্বতন্ত্র বিধি তৈরি করা জরুরী। সরকারকে তা করতে হবে। নইলে শিক্ষার মান আরও ক্ষুন্ন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের আরও কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আমরা অনেক জটিলতা পেরিয়ে, পরীক্ষা দিয়ে পাস করে তারপর ক্যাডারভূক্ত হয়েছি। আর তারা এমনি এমনি যদি ক্যাডারভূক্ত হয়ে যান, সমান মর্যাদা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে পেয়ে যান তাহলে সেটা অবিচারের পর্যায়ে চলে যায়না? আমরা স্বতন্ত্র বিধি চাই, নইলে আরও জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি আত্মহুতির ঘটনাও ঘটতে পারে।