সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::বাবারা একে অপরের চক্ষুশূল হতে পারেন, মঞ্চে উঠে দোষারোপের তোপে খান খান করে দিতে পারেন পরস্পরকে। তবে তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কন্যাদের কিচ্ছু যায় আসে না। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে রাজি নন তারা মোটেই। বরং বাবার উল্টো পথে হেঁটে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কন্যা মালিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিলেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা। এমনকী ওবামার পূর্বসূরি ক্লিনটন কন্যা চেলসিকেও দেখা গেল ইভাঙ্কার সুরে সুর মিলিয়ে মালিয়াকে সমর্থন করতে।
একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রকাশিত মালিয়া ওবামার ছবি থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। হার্ভার্ডের ছাত্রী মালিয়াকে ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে চুম্বনরত অবস্থায়। অন্য আরও একটি ছবিতে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একদা মার্কিন ফার্স্ট ডটারের এ-হেন ছবি দেখে উদারবাদে বিশ্বাসী আমেরিকাতেও সমালোচনার বান ডেকেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কন্যা হিসাবে মালিয়ার কী কী সহবৎ শিক্ষার দরকার ছিল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। মালিয়াকে আক্রমণ করা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওবামা কন্যা মালিয়া স্বপক্ষে কোনও বক্তব্য রাখেননি প্রকাশ্যে। মন্তব্য করেননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা বা তাঁর স্ত্রী মিশেলও। কিন্তু, মালিয়ার হয়ে সমালোচকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকার বর্তমান ফার্স্ট ডটার ইভাঙ্কা ট্রাম্প। সমালোচকদের পাল্টা সমালোচনা করে বললেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কন্যা বলে মালিয়াকে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। ইভাঙ্কা বলেন, “মালিয়া তাঁর আর পাঁচটা কলেজ যাওয়া বন্ধুর মতোই সদ্য তারুণ্যে পা রাখা এক ছাত্রী। তার বয়সি অন্য ছাত্রছাত্রীদের মতো তাঁকেও গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার দেওয়া উচিত। মালিয়া আমেরিকার একজন সাধারণ স্বাধীন নাগরিক। আর আমেরিকার যে কোনও বাসিন্দা নিজের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন যতটা ব্যক্তিগত রাখতে চান, মালিয়াও নিশ্চয়ই তাই চান।”
ইভাঙ্কার এই বক্তব্যের পরই মালিয়াকে সমর্থন করে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন কন্যা চেলসিও। টুইটারে লেখেন, “মালিয়ার জীবন, বা নাগরিক হিসাবে সে কী করছে তার কোনওটাই আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে না। আক্রমণ করবেন না।” প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই কন্যার জ্যেষ্ঠতমা মালিয়া। তবে মার্কিন ফার্স্ট ডটার গোষ্ঠীতে সে কনিষ্ঠতম। তাঁকে সমালোচকদের হাত থেকে বাঁচাতে যেভাবে অন্য প্রেসিডেন্টের সন্তানরা আওয়াজ তুলেছেন, তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত। জানিয়েছেন, যেভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শের পরোয়া না করে প্রেসিডেন্ট কন্যারা তাকে সমর্থন করেছেন, তা এক কথায় ঐতিহাসিক।